জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলেছে, প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনের কর্মীরাই পুলিশের ওপর হামলা করেন। হামলায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার শাহবাগে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের হামলার প্রতিবাদে সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য মতে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাবির টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো। সমাবেশ চলাকালে হঠাত্ পুলিশের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় সংগঠনগুলোর কর্মীদের। তখনই রমনা জোনের এডিসি হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে লাঠিপেটাসহ মারধর করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে সংগঠনগুলোর মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছোড়া হয়।
পুলিশের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের হামলায় রমনা থানার এসি বায়োজিদ এবং শাহবাগ থানার এসআই রাশেদ আহত হন। অন্যদিকে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা জানান, পুলিশের হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী, কর্মী মশিউর রহমান, মিশাল ত্রিপুরা, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সংগঠক জাবির আহমেদ জুবেল, সামি আব্দুল্লাহ, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা নগরের সংগঠক শাহাদাত হোসেন, ঢাকা নগরের কর্মী জাওয়াদ হোসেন, শান্তাসহ প্রায় ২০ জন আহত হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলার বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ চলাকালে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু করে আমাদের ওপর হামলে পড়ে। আমাদের নারী নেতাকর্মীদের পুলিশ হেনস্তা করে। নারী পুলিশ সদস্য থাকলেও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আমাদের নারী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়৷ আমরা এ হামলার প্রতিবাদে সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাবির মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল করব। ’
রমনা জোনের এডিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন, হামলার অভিযোগ অসত্য। পুলিশ তাদের (বাম সংগঠন) ওপর কোনো হামলা করেনি। তারাই বরং পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..