গত বছর এপ্রিলের কথা। নিউজিল্যান্ড সফরে চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি।
সে ম্যাচেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করেন লিটন দাস। এবার নুরুল হাসানের চোট আরেকবার অধিনায়কত্বের সুযোগ করে দিচ্ছে লিটনকে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে লিটনেরই অধিনায়কত্ব করার কথা। বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান সবুজ সংকেত দিলেই আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি জানিয়ে দেওয়া হবে। দলের এক সূত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেব বিকেলের দিকে। লিটনেরই সম্ভাবনা বেশি।’
নুরুলের দুঃসংবাদটা আসে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচের পর। উইকেটকিপিংয়ের সময় বল থামাতে গিয়ে বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট পান। কিন্তু পুরো ম্যাচ ব্যথা সহ্য করে কিপিং করে গেছেন। চোটের বিষয়টি কাউকেই বুঝতে দেননি। ম্যাচ শেষে এক্স-রে করিয়ে দেখা গেছে আঘাতের জায়গায় চিড় ধরেছে। আগামীকালের শেষ ম্যাচ তো বটেই, ওয়ানডে সিরিজেও তিনটি ম্যাচ খেলা হবে না নুরুলের। এমন চোট থেকে সুস্থ হতে নাকি কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লাগে।
সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ায় নুরুলকে দেশে ফিরতে হবে। তাঁর বদলি হিসেবে কোনো ক্রিকেটার দেশ থেকে পাঠানোর সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচক প্যানেলের এক সদস্য, ‘উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিম তো আছে। মনে হয় না কাউকে পাঠানোর প্রয়োজন হবে।’
নুরুল অবশ্য থেকে যেতে চেয়েছিলেন। দুই দিন বিশ্রাম নিলেই নাকি তিনি খেলার মতো অবস্থায় ফিরতে পারবেন বলে তাঁর ধারণা। বাংলাদেশ দলের ফিজিও মুজাদ্দেদ আলফা অবশ্য বলেছেন ভিন্ন কথা, ‘নুরুলের আঙুলে এক্স-রে করার পর দেখা গেছে তাঁর আঙুল ভেঙেছে। এ ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় প্রয়োজন। সে কারণে নুরুল ২ আগস্টের সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ ও এর পরের ওয়ানডে সিরিজে খেলতে পারবেন না।’
টি–টোয়েন্টি সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি নুরুলকে। তবে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে একটি ক্যাচ নিয়েছিলেন।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৬ বলে ৪২ রানের দারুণ একটা ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের ২০৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরেছে ১৭ রানে। আগামীকাল সিরিজের শেষ ম্যাচ।
এ জাতীয় আরো খবর..