বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে পানি ভবনে ইলেকট্রিক কেটলি, ওভেন ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এসির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ সেন্টিগ্রেড রাখাসহ ১৯টি নির্দেশ দিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। আজ বুধবার পানি ভবনের সম্মেলনকক্ষে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, সেন্ট্রাল এসির থার্মোস্ট্যাটযুক্ত অংশের তাপমাত্রা ২৬ সেন্টিগ্রেড নির্ধারণ করে থার্মোস্ট্যাট লক করা হয়েছে বিধায় তাপমাত্রা এর নিচে নামানো সম্ভব নয়।

দুই ঘণ্টা অন্তর এক ঘণ্টা সেন্ট্রাল এসি চালু থাকবে। সেন্ট্রাল এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণযোগ্য অংশের তাপমাত্রা ২৬ সেন্টিগ্রেডের নিচে নামানো যাবে না। পানি ভবনের সবগুলো করিডরের লাইট বন্ধ থাকবে। কক্ষসমূহের ডেস্কের ওপরে অবস্থিত লাইট ব্যতীত অন্য সকল লাইট বন্ধ থাকবে। কক্ষ ত্যাগের সময় লাইট এবং এসি বন্ধ থাকবে। পানি ভবনের অভ্যন্তরস্থ সকল গ্লাস ডোর বন্ধ থাকবে। আলো প্রবেশের সুবিধার্থে গ্লাস ডোরে লাগানো ফ্রোস্টেড পেপার খুলে স্বচ্ছ করতে হবে। পানি ভবন ক্যাম্পাসের গার্ডেন লাইটসমূহ বন্ধ থাকবে।

একই সঙ্গে পানি ভবনে তিনটি লিফট চালু থাকবে। বাকি সব লিফট বন্ধ থাকবে। আলো প্রবেশের সুবিধার্থে কক্ষসমূহের জানালার স্ক্রিন সরিয়ে রাখতে হবে। ইলেকট্রিক কেটলি, ওভেন ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। দিনের বেলায় সূর্যের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সকাল ৯টায় অফিসের কার্যক্রম শুরু করে বিকেল ৫টার মধ্যেই অফিস ত্যাগ করতে হবে।  

এ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজে অফিসের গাড়ি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে একই গাড়িতে একাধিক কর্মকর্তার অফিস যাতায়াত উৎসাহিত করা হয়েছে। সাইট পরিদর্শনে একাকী গাড়ি ব্যবহার কমাতে হবে। প্রশিক্ষণ কোর্স সংখ্যা কমাতে হবে। মিটিংসমূহ যথাসম্ভব অনলাইনে করতে হবে। ৭২ গ্রিন রোডস্থ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল ভবনে উপর্যুক্ত সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর থাকবে।  

সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক বজলুর রশিদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালমা জাফরিনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।