×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-১৮
  • ১০৫ বার পঠিত
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে সিলেট সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা। দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন লোকজন।  

বিশেষ করে সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ছাড়াও মেঘালয়ের সীমান্তঘেঁষা গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাটসহ বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষজনের বাড়িতে এখন গলা সমান পানি।

বন্যা পরিস্থিতি এত ভয়াবহ যে, এখন ত্রাণের চেয়ে প্রাণ বাঁচানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে সিলেটের প্রত্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে সেনাবাহিনীকে তলব করেছে জেলা প্রশাসন। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে গেছে। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে- বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করা। বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে জেলা প্রশাসন সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিল।  

সিলেটে দ্বিতীয় দফা বন্যায় নগরীসহ ১৩টি উপজেলার সব ক’টি এলাকা তলিয়ে গেছে, খোঁজ নিয়ে এমনটাই জানা গেছে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে মানুষ এখন দিশেহারা।

অন্যদিকে পানিতে ডুবে আছে কোম্পানীগঞ্জ, লামাকাজী, বিশ্বনাথ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, ওসমানীনগরসহ সব ক’টি এলাকা। সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো সূত্র জানিয়েছে- সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।

কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মজির উদ্দিন বলেন, এত পানি এর আগে দেখিনি। এটা মানবিক বিপর্যয়। মানুষকে খাবার দেওয়ার আগে উদ্ধার করা প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat