কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (কুসিক) ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ৯০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করার পর রিটার্নিং অফিসার শাহেদুন্নবী চৌধুরী বিরতি ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি কাউন্সিলরদের ফল আগে ঘোষণা করা হবে বলে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে নৌকা ও ঘড়ির সমর্থকরা।
তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিফাত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাক্কুর পক্ষে নৌকা ও ঘড়ির স্লোগান দিতে থাকে। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সেখানে। তারা আগেই মেয়র প্রার্থীদের ফল ঘোষণার দাবি জানায়।
রাত পৌনে ৯টায় ৩০ জনকে নিয়ে সাক্কু ঘটনাস্থলে আসেন। এতে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় নেতাকর্মীদের মধ্যে। যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ।
পরে আবারও মেয়রের ফল ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং অফিসার। এ পর্যন্ত ৯৪ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত (নৌকা) পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৯৩ ভোট। সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি) পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৭ ভোট।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অনেক ভোটে পিছিয়ে আছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এই নির্বাচনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৫টি, ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ করা হয়েছে ইভিএমে। রাতের মধ্যেই জানা যাবে কে হচ্ছেন কুমিল্লা সিটির পরবর্তী নগর পিতা।
এবার নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। তবে মূল লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সারে মধ্যে।
এ জাতীয় আরো খবর..