বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ উত্থাপনকারী বিএনপি মানসিক বৈকল্যের শিকার। তারা ১৬ বছর দেশ শাসন করেছেন, জাতিকে কিছুই দিতে পারেন নি। বরং দেশ ও জনগণের সম্পদ লুন্ঠণ করে লুটপাটের অর্থনীতির প্রবর্তন করেছিলেন। আজ বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেমিক নেতৃত্বে নিজ দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় সমগ্র জাতির মাঝে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে, দেশের মর্যাদা পরম বৃদ্ধি পেয়েছে, বাংলার সার্বভৌমত্ব দৃঢ়তর হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের জীবনমান ও দেশের উন্নয়নের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় এক টাকাও বৃদ্ধি পায় নি। এক সঙ্গে নদী নদীশাসন ও নদী প্রশিক্ষণ এবং দুই প্রান্তে দুইটি বিশ্বমানের এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে। রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বিপুল জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। জমি ও স্থাপনার মালিকদের তিনগুণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত না হলে পদ্মা সেতু অর্থবহ হতো না। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পূর্বেই রাস্তার পাশের জমির মূল্য তিন থেকে চারগুণ বেড়ে গেছে।
চালু হওয়ার পর জমির মূল্য বর্তমান মূল্যের তিনগুণ বেড়ে যাবে। যদি একই সঙ্গে রাস্তা নির্মাণ করা না হতো, অদূর ভবিষ্যতে রাস্তার জন্য জমি অধিগ্রহণে পরিশোধিত মূল্যের দশগুণ ব্যয় করতে হতো। এছাড়াও বিশ্বব্যাংকের টাকায় সেতু নির্মাণ পরিকল্পনার সময় ঠিকাদারের ট্যাক্স ও ভ্যাট সরকারের পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত ছিল। পরবর্তীতে নিজের টাকায় সেতু নির্মাণকালে ট্যাক্স ও ভ্যাট ঠিকাদার সরকারী কোষাগারে জমা করছে। ফলে এখাতেও কিছু ব্যয় বেড়েছে। যে টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিহিংসা বশত বিএনপি- জামাত বিশ্ব ব্যাংকের পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির কল্পিত অভিযোগ উত্থাপন করছে। মূলত পদ্মা সেতু নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ অক্ষমের আর্তনাদ।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, উপ প্রচার সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজ, হুইপ শামসুল হক এমপি, আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, আবু রেজা নদভী এমপি এবং প্রত্যেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদকবৃন্দ।
সভায় ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..