×
  • প্রকাশিত : ২০২০-০৯-২২
  • ১৩৯ বার পঠিত

স্বাধীনবাংলা, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘকে সঠিক পথে নিতে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি বিশ্বাসযোগ্য ও ব্যবহারিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করা উচিত।মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোর রাতে নিউইর্য়কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সংস্থাটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর রেকর্ড করা বক্তব্য প্রচার করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও সুস্পষ্টভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবার কাছে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবসম্মতরোডম্যাপ তৈরির জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘকে দুর্বল করে এমন ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন না দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

আরো পড়ুন: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থা সংকটাপন্ন ***

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে শুরু হওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ)  বিশেষ অধিবেশনে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘকে শতবর্ষ ও এর বেশি সময়ে সঠিক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, ইউএনজিএ-৭৫- কে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও সুস্পষ্টভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরি করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘকে দুর্বল করে এমন কোন ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন দেওয়া উচিৎ নয়। আমরা এটা পূর্ববর্তীদের কাছ থেকে পেয়েছি। এজন্য তাদের কাছে আমরা ঋণী এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদেরও জাতিসংঘকে একটি সত্যিকার অর্থে সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক কার্যকরী সংস্থায় পরিণত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলতে চাই যে, ‘আমরা এমন অনেক মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করেছি, যা আমাদের মানব সভ্যতার নতুন ইতিহাস গড়ে তুলেছে। ইউএনজিএ ৭৫ এ ধরনের আরেকটি মুহূর্ত আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।

 

চলমান বৈশ্বিক প্রাণঘাতি মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মহামারি আমাদের ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য অর্জনকে আরো কঠিন করে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, চলমান মহামারিসহ বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ ধরনের সংকট মোকাবিলার অক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে। এই মহামারি দেখিয়ে দিয়েছে যে উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশকেই পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে জাতিসংঘকে এখন বেশি প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে অনেক উপকৃত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ জাতিসংঘের কাছে ঋণী।

শান্তিরক্ষী বাহিনী সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে এখন আমাদের দেশের সবচেয়ে বেশি সৈন্য ও পুলিশ সদস্য রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের সংঘাতপ্রবণ দেশগুলোর শান্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ১৫০ শান্তিরক্ষী সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর সঙ্গে একই সময়ে হওয়ায় বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, জাতিসংঘ ভবিষ্যতে মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাবে। এটা জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিকতার উপর বাংলাদেশের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রমাণ।

তিনি আরো বলেন, অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য আমি জাতিসংঘের সব কর্মকর্তা ও সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্ব নেতারা সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভার্চুয়ালি যোগ দিচ্ছেন। এবারের ৭৫তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য হলো- আমরা ভবিষ্যত চাই, আমাদের জাতিসংঘের প্রয়োজন : বহুপাক্ষিকতার প্রতি আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat