পঞ্চম হয়ে এশিয়া কাপ হকি শেষ করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু কাজটা যে কত কঠিন, সেটা ভালোভাবেই টের পেয়েছে বাংলাদেশ।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় আজ শক্তিশালী পাকিস্তান ৮-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশকে।
বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ১৮তম, বাংলাদেশ ২৭তম। কাগজে-কলমে ও শক্তিতে বাংলাদেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকি, এএইচএফ কাপ, এশিয়ান গেমস বাছাই ও এশিয়া কাপ মিলিয়ে গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত টানা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলছে বাংলাদেশ।
এতে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়েও ১১ ধাপ উন্নতি হয়েছে। সমশক্তির দলগুলোর সঙ্গে জিতে র্যাঙ্কিং বাড়ালেও বড় দলগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে পারছে না বাংলাদেশ। সেই প্রমাণ আবারও মিলেছে এবারের এশিয়া কাপে। গ্রুপ পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার কাছে হারের ব্যবধান ছিল ৮-১ গোলের। এরপর আজ পাকিস্তানের কাছে হেরেছে এত বড় ব্যবধানে।
চার কোয়ার্টারের ম্যাচে প্রথম কোয়ার্টারে ১ গোল করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশ হজম করে আরেকটি গোল। কিন্তু পরের দুই কোয়ার্টারে অতি আক্রমণাত্মক খেলে ৬ গোল দেয় পাকিস্তান। ম্যাচে পাকিস্তান ৬টি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে। এর মধ্যে ৩টি গোল দিয়েছে পেনাল্টি কর্নার থেকে। বাকি ৫টি হয়েছে ফিল্ড গোল। বিপরীতে বাংলাদেশ ২টি পেনাল্টি কর্নার পেলেও কোনো গোল করতে পারেনি।
আজ শুরু থেকেই পাকিস্তানের আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেয়েছে বাংলাদেশ। ১১ মিনিটে রিজওয়ান আলী পেনাল্টি কর্নার থেকে করেন প্রথম গোল। এরপর ১৬ ও ৩২ মিনিটে আলী মোবাশ্বের করেন আরও দুটি গোল। এরপর ৩৯ মিনিটে আফরাজ করেন চতুর্থ গোল। ৪২ মিনিটে আবদুল শহীদের স্টিক থেকে এসেছে ম্যাচের পঞ্চম গোল।
অধিনায়ক উমর ভুট্টো ষষ্ঠ গোলটি করেন ৪৮ মিনিটে। ৫৩ মিনিটে পাকিস্তানের গোল–উৎসবে যোগ দেন এজাজ আহমেদ। আর ম্যাচের শেষ মিনিটে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেছেন আলী গজনফর।
আজকের ম্যাচ দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচেই হারল বাংলাদেশ। এর আগের লড়াইগুলোও ছিল একপেশে। ২০১৬ সালে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ৬-০ গোলে। এরপর ২০১৭ এশিয়া কাপে ৭-০, ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে ৫-০ ও গত বছর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ হেরেছে ৬-২ গোলে।
বড় দলগুলোর সঙ্গে জয় দূরে থাক, যেন লড়াই করার মতো সামর্থ্যও নেই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের!
এ জাতীয় আরো খবর..