×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৫-৩০
  • ৬৮ বার পঠিত
চুরি, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদারসহ ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

এর আগে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৬ জুন শাহবাগ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা দোয়েল চত্তর থেকে মিছিল নিয়ে বের হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন ইউনিটের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশে আশ্রয় নিলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর তাদের হাতে থাকা লোহার রড, রাম দা, চা পাতি, বাশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে এলোপাতারি মারতে থাকেন এবং এলোপাতারি ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। হামলার নেতৃত্ব দেন বালাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। তাদের হামলায় প্রায় ৭০/৮০ নেতাকর্মী আহত হয়।

মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, এ মামলার আসামি আল আমিন রহমানের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মামলার বাদীনি মানসুরকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত করলে সে হাত দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। তখন আসামি রাশেদ ফেরদৌস আকাশের হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আঘাত করতে থাকে। আসামি নাজিমুদ্দিন এবং তিলোত্তমা শিকদারের হাতে থাকা লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে মানসুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারী শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করতে থাকে। মানসুরা নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপন চেষ্টা করতে থাকে। তখন মানসুরের হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম প্রাপ্ত হয়। একপর্যায়ে সে মাটিতে পড়লে আসামি তিলোত্তমা শিকদার ও আসামি খাদিজা আক্তার উর্মি তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন ছাত্রলীগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন রহমান, সহসম্পাদক রাশেদ ফেরদৌস আকাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন, ঢাবির সামছুন নাহার হলের সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সামাদ আজাদ জুলফিকার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক শামীম পারভেজ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হিল বারী, উপদপ্তর সম্পাদক মো. নাজির, খান মোহাম্মদ শিমুল, উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শাহিন তালুকদার, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাবির জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের অভিজ্ঞান দাস অন্তু, অমর একুশে হলের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান সোহাগ, সহসভাপতি রাকিব হোসেন, বিজয় একাত্তর হলের মজিবুল বাশার, সলিমুল্লা হলের নাজিমুদ্দিন সাইমুন, চুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ইমাম বাকের, ছাত্রলীগ কর্মী মাহমুদ চৌধুরী, শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি শরীফ আহাম্মদ, এম রহমান হলের আব্দুর রাহিম, ঢাবির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান পিকুল, এসএম হলের সায়েম, এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ঢাবির সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফারিয়াল, শহীদুল্লাহ্ হলের সাধারণ সম্পাদক মুনিম শাহরিয়ার, সূর্যসেন হলের নাহিদ সাদি, জগন্নাথ হলের ঐশিক শুভ্র ও সৌরভ চক্রবর্তী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat