×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৫-২২
  • ৯৭ বার পঠিত
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা সংক্রান্ত অর্থ আত্মসাতের মামলায় ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যের জামিন শুনানি আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে জামিনের আবেদনটি রবিবারের কার্য তালিকায় শুনানির জন্য রয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ঠিক করা হয় হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। গত বুধবার এই চারজনের আগাম জামিনের শুনানি শেষে অধিকতর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন হাইকোর্ট।


অভিযুক্ত চার সদস্য হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান, এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ ও রেহানা রহমান।

এ বিষয়ে দুদকে অভিযোগকারী আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা  ড. সুফী সাগর সামস বলেন, মামলার অন্যতম আসামি আজিম উদ্দিন দেশে আছেন কি না বিদেশে পালিয়ে গেছেন, তা নিয়ে জনমনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মামলার অপর চার আসামি তাদের সামাজিক অবস্থান, বয়স ও প্রভাব খাটিয়ে আগাম জামিন শুনানি দীর্ঘসূত্রতা করছেন। এমনকি কয়েকজন আসামি শারীরিক অসুস্থতাকে পুঁজি করেও আগাম জামিন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আসামিরা জামিন পেলে দেশ ত্যাগের বড় শঙ্কা রয়েছে।

বুধবার বোর্ডের সদস্যের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, এ এফ হাসান আরিফ। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৫ মে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। অপর আসামিরা হলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিন মো. হিলালী।

এ মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্টের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমাল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ হস্তন্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর ও গোপন করার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারের সুপারিশ/অনুমোদনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কিছু সদস্যের অনুমোদনের মাধ্যমে এই অর্থ লোপাট করা হয়। এ ছাড়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির আরো অভিযোগ রয়েছে। সেসব অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।   

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat