৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, শিশুদের এই টিকা কর্মসূচি পরিচালিত হবে সিটি কর্পোরেশন এলাকাগুলোতে। সেখানকার স্কুলগুলোতে আমরা টিকা দেবো। ইতোমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, শিশুরা যেন সঠিক সময়ে কেন্দ্রে এসে টিকা নেয়।
টিকা কেন্দ্রে এসে যেন শিশুরা বসতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ২ কোটি ২০ লাখ শিশু রয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এই শিশুরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুক তাদের হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ভাসমান হোক আর স্কুলে না পড়া শিশু হোক, সব শিশুই টিকা পাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। টিকার প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। শিশুদের টিকা কার্যক্রম ১১ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী ২৫ তারিখ থেকে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা হবে। এজন্য যা যা করা প্রয়োজন, সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, টিকা তারাই নিতে পারবে, যারা নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে, তবে তা দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান।
এ জাতীয় আরো খবর..