৩০ দিনের ডিজেল এবং ১৮ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ। এ ছাড়া ৩২ দিনের জেট ফুয়েল মজুদ রয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে প্রতি লিটার ডিজেলে ১২০ টাকা খরচ হচ্ছে বিপিসির, এ ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি ৬ টাকার মতো লোকসান দিতে হচ্ছে।
তবে অকটেনে ২৫ টাকার মতো লাভ হচ্ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ক্রুডের কারণে পেট্রোল ও অকটেনের দাম বাড়ে। সুতরাং পেট্রোল ও অকটেনের দাম কৌশলগত কারণে বাড়াতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
আর অকটেন প্রতি লিটার ১৩৫ ও পেট্রল ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়।
এ বি এম আজাদ আরো বলেন, ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছর থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছর পর্যন্ত জ্বালানি খাতে ক্রমাগত লোকসান গুনতে হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫৩ হাজার ৫ কোটি টাকার মতো। এ খাতে ভর্তুকির বিনিময়ে সরকার বিভিন্ন সময়ে ৪৪ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকার মতো বিপিসিকে প্রদান করে। ওই সময়ে আরো প্রায় আট হাজার ১২৭ কোটি টাকা ঘাটতি ছিল, যা পরে বিপিসির মুনাফার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।
এ সময় তিনি সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি না নিয়ে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা টাকা থেকে গত ছয় মাসের জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়েছে বলেও জানান।
এ জাতীয় আরো খবর..