×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৮-০২
  • ৪৩ বার পঠিত
মার্টিন লুথার কিং থেকে শুরু করে তরুণ বারাক ওবামা ছিলেন তাঁর অভিনয়ের ভক্ত। কেবল এ দুজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্বই নয়। তাঁর খ্যাতি ছিল দুনিয়াজোড়া। চলচ্চিত্রে তাঁর সাফল্য কৃষ্ণাঙ্গ অভিনয়শিল্পীদের সামনে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। কালজয়ী সারা জাগানো সেই অভিনেত্রী নিশেল নিকোলস পাড়ি দিলেন না–ফেরার দেশে। তিনি মারা গিয়েছেন। গত ৩০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর সিলভার সিটিতে ৮৯ বছর বয়সে এই অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়। পরিবার ও রয়টার্সের সূত্রে জানা গেছে, বার্ধক্যের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর খবর জানিয়ে নিকোলসের ছেলে কাইল জনসন গত শনিবার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তিনি সব সময়ই আমাদের মাঝে থাকবেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রেরণা জুগিয়ে যাবেন।’

১৯৬০–এর দশকে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘স্টার ট্রেক-দ্য অরিজিন্যাল সিরিজ’-এ অভিনয়ের জন্য ভক্তদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন নিকোলস। সায়েন্স ফিকশন সিরিজটিতে লেফটেন্যান্ট উহুনার চরিত্রে অভিনয় করে বাজিমাত করেন। ‘স্টার ট্রেক’ ষাটের দশকে হয়ে উঠেছিল পপ কালচারের অন্যতম অনুষঙ্গ। এ সিরিজেই প্রথমবারের মতো টিভি সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রীকে দেখা যায়। সিরিজে একটি চুম্বন দৃশ্যের কারণেও ইতিহাসের অংশ হয়ে আছেন নিকোলস। ১৯৬৮ সালে ‘স্টার ট্রেক’সহ অভিনেতা উইলিয়াম শ্যাটনার সঙ্গে সিরিজের একটি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন নিকোলস, যা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের টিভিতে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ অভিনয়শিল্পীর মধ্যে প্রথম চুম্বন দৃশ্য।

‘স্টার ট্রেক’ সে সময়ে এতটাই জনপ্রিয় শো ছিল যে কৃষ্ণাঙ্গ, নারী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের নভোচারী হতে আগ্রহী করতে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা সিরিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগায়। সত্তর দশকে কৃষ্ণাঙ্গ, নারী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিকোলসকে চাকরি দেয় নাসা। সিরিজ ছাড়াও বাকি ছয়টি ‘স্টার ট্রেক’ ছবিতে অভিনয় করেন নিকোলস। ১৯৫৯ থেকে শুরু করে ২০২১ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক চলচ্চিত্র ও সিরিজে অভিনয় করেন নিকোলস।

অনেকগুলোতে দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও কোনোটিই ‘স্টার ট্রেক’-এর জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। ১৯৯২ সালে হলিউড ওয়াক অব ফ্রেমে জায়গা পান নিকোলস। এ ছাড়া তাঁকে আজীবন সম্মাননা জানিয়েছে একাডেমি অব সায়েন্স ফিকশন, ফ্যান্টাসি ও হরর ফিল্মস। তাঁর অভিনীত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ‘রেনেগেডস: ওমিনারা’ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া ‘দ্য অর্ডার’ ও ‘মোমেন্ট অব ইমপ্যাক্ট’ সিনেমা দুটিতে অভিনয়ের কথা ছিল। ১৯৩২ সালের ২৮ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যে জন্ম হয় অভিনেত্রীর। ১৯৭২ সালে দ্বিতীয়বার বিচ্ছেদের পর আর বিয়ে করেননি। তাঁর একমাত্র সন্তান অভিনেতা কাইল জনসন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat