জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কস্থ মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। এরপর আজ সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টায় তাঁর মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ১১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতেও তিনি কাজ করেন।
মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি, কার্য-উপদেষ্টা কমিটি, কার্যপ্রণালীবিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি প্রথমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে এবং পরে সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
দশম সংসদ থেকে মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি সংসদ লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি, কার্য-উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পিটিশন কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। এ সময় তিনি কার্য-উপদেষ্টা কমিটি ও পিটিশন কমিটির সদস্য এবং লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি ছিলেন।
এ জাতীয় আরো খবর..