×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৬
  • ৫৫ বার পঠিত
চরম অর্থনৈতিক সংকটে তীব্র গণবিক্ষোভের মুখে শ্রীলংকার সরকারের পতন ঘটেছে। মূলত ঋণ খেলাপি হওয়ার পর থেকেই সংকট নেমে এসেছে শ্রীলংকার অর্থনীতিতে।

শ্রীলংকা, লেবানন, রাশিয়া, সুরিনাম এবং জাম্বিয়া ইতোমধ্যেই ঋণ খেলাপির তালিকায় রয়েছে। বেলারুশও ঋণ খেলাপি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং কমপক্ষে আরও ডজনখানেক দেশ ক্রমবর্ধমান ঋণের খরচ, মুদ্রাস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে সবদিক থেকেই অর্থনৈতিক পতনের আশঙ্কায় রয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

অর্থনৈতিক সংকটের মুখে থাকা দেশের তালিকা চমকপ্রদ। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। এর পরই রয়েছে মিশর ও ইকুয়েডর।

আর্জেন্টিনা
সব সময়ই ঋণ খেলাপির তালিকায় থাকা আর্জেন্টিনা তার বিশ্ব রেকর্ড ধরে রাখতে পারে বলে মনে হচ্ছে। পেসো এখন কালোবাজারে প্রায় ৫০% ডিসকাউন্টে লেনদেন করা হচ্ছে। দেশটির রিজার্ভও খুব কম। দেশটিতে ডলারে মাত্র ২০ সেন্টে বন্ড বাণিজ্য হয়, যা দেশের ২০২০ ঋণ পুনর্গঠনের পরে যা ছিল তার অর্ধেকেরও কম।যদিও দেশটির সরকারের কাছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পরিষেবার জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য ঋণ নেই। তবে এর পরে ঋণের পরিমাণ আরও বাড়বে এবং সেই শক্তিশালী ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে প্রত্যাহার করার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারে।

ইউক্রেন
রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনকে প্রায় অবশ্যই ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ পুনর্গঠন করতে হবে বলে মরগান স্ট্যানলি এবং আমুন্ডির মতো হেভিওয়েট বিনিয়োগকারীরা সতর্ক করেছেন।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ১ দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বন্ড পেমেন্ট বাকি থাকায় এই সংকটের শুরু হয়। সাহায্যের অর্থ এবং রিজার্ভের অর্থ হলো কিয়েভ সম্ভাব্য অর্থ প্রদান করতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রচালিত নাফটোগাজ চলতি সপ্তাহে দুই বছরের ঋণ ফ্রিজ করার আহ্বান জানিয়েছে। সরকার এই আহ্বানে সাড়া দেবে বলে বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন।

পাকিস্তান
পাকিস্তান চলতি সপ্তাহে আইএমএফের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে। তবে অগ্রগতি আরও সময়োপযোগী নাও হতে পারে। উচ্চ আমদানি মূল্য দেশটিকে অর্থপ্রদানের ভারসাম্য সংকটের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা পাঁচ সপ্তাহের আমদানির জন্য খুব কমই যথেষ্ট। পাকিস্তানি রুপি দুর্বল হয়ে রেকর্ড পরিমাণে নেমে এসেছে। নতুন সরকারকে এখন দ্রুত ব্যয় কমাতে হবে কারণ দেশটি মোট রাজস্বের ৪০ শতাংশ সুদ দিতে ব্যয় করে।

এছাড়াও শ্রীলংকার মতো পরিণতির আশঙ্কায় রয়েছে তিউনিশিয়া, ঘানা, ইকুয়েডর,এল সালভেদর, মিশর, কেনিয়া ও নাইজেরিয়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat