×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-১৬
  • ৬২ বার পঠিত
বিদ্যমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) নগরবাসীকে বিনা মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার স্থান এবং ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য বা ডেঙ্গু সম্পর্কিত যেকোনো অভিযোগের জন্য কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডেঙ্গুর বিষয়ে নগরবাসী জানতে এবং যেকোনো পরামর্শ নিতে নিম্নবর্ণিত নম্বরগুলো দেওয়া হয়েছে- ০১৭৬৯১০০৬৮০, ০১৭১৬৫০৬২৫৮, ০১৭১৫২৩৮৭৫৪, ০১৭১৫৪৫৬৬৯৮, ০১৭৫৬২০৯৪৮২, ০১৭১৬৩৯৮৮৮৬, ০১৭৩৫৮৪৩৬৯৩

এ ছাড়া শহরের বাসা-বাড়ির ছাদের ছাদ বাগান, ছাদে জমা পানি, চৌবাচ্চা এবং বৃষ্টির পানি বা পরিষ্কার পানি জমতে পারে এ ধরনের স্থান ও পাত্র সার্ভে করা এবং অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও মশার প্রজননক্ষেত্র রয়েছে কি না সেটি দেখতে অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করছে ডিএনসিসি। অত্যাধুনিক ড্রোনের সাহায্যে সেগুলো খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এর ফলে প্রতিটি বাড়ির ছাদে না উঠেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে মশার উৎস সম্পর্কে।
গত ৩০ জুন সকালে রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় ড্রোন সার্ভে কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ২ থেকে ১১ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন প্রতিটি বাসাবাড়ির ছাদে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন। বিদ্যমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় ২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। আজ পর্যন্ত চলা এই ড্রোন সার্ভে কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৭৭৮৬টি বাড়ির ছাদ, ১৩৪৩টি ছাদ বাগানে ড্রোন সার্ভে করা হয়। এর মধ্যে ২২৮টি ছাদে জমা পানি পাওয়া যায় এবং পাঁচটি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা শনাক্ত করা হয়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং লার্ভা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এ ছাড়া ওয়াসার পানির মিটার এবং এ জাতীয় অন্যান্য স্থানে প্রতি মাসে প্রথম সপ্তাহে দানাদার কীটনাশক নোভালুরোন প্রয়োগ করা হচ্ছে। মশার প্রজনন স্থান হিসেবে চিহ্নিত সব নালা, নর্দমা এবং জলাশয়ে নিয়মিত গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে।

এদিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়মিত লার্ভিসাইডিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভবন মালিক এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জমে থাকা পানিতে কেরোশিন তেল প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

গত ০৪ জুলাই সকালে রাজধানীর গুলশান-২-এ নগর ভবনে বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে রিহ্যাব  নেতাদের সঙ্গে ডিএনসিসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে রিহ্যাবকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান করেন।

সভায় রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সব সদস্যের নির্মাণাধীন ভবনে ব্যবহারের জন্য বিনা মূল্যে মশা নিধন কীটনাশক নোভালুরোন ট্যাবলেট বিতরণ করা, প্রতিটি নির্মাণাধীন ভবনে সতর্কতামূলক ও সচেতনতামূলক ছবি সংবলিত ব্যানার লাগানোসহ সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ছাড়া নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে মাইকের সাহায্যে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে এবং সচেতনতা বার্তা সংবলিত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হচ্ছে। বাসাবাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat