×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৭-০৯
  • ৭৩ বার পঠিত
ঈদে ঘরে ফিরতে বাহন না পাওয়া এবং যানজটের ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। এত কিছুর পর প্রিয়জনের কাছে পৌঁছলে সব ক্লান্তি মুছে যাবে সবার। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবে স্বজন, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগে থেকেই ধারণা করছিলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়ে বাড়ির পথ ধরবে।

এর প্রভাব পড়বে সব মহাসড়ক, রেল ও নৌপথে। হয়েছেও তাই। গতকাল শুক্রবার ছিল ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিন। গতকাল দেশের অনেক মহাসড়কে যানজটে পড়ে যাত্রীরা। রেলে যাত্রীদের চাপে যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই। লঞ্চেও ছিল প্রায় একই পরিস্থিতি। ফেরিঘাটেও গাড়ির দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।
এবার যাত্রীদের ভোগান্তির শুরু একেবারে রাজধানী থেকেই। ঢাকা ছাড়ার জন্য বাস পাচ্ছে না হাজারো মানুষ। যানবাহন না পেয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যানে বাড়ি যাচ্ছে কেউ কেউ। গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া।

রাজধানী ছাড়তেই বড় কষ্ট

গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা। গুলিস্তান এলাকায় মেয়র হানিফ উড়ালসেতুর নিচে ধামরাইয়ের এক বাসে বসে আছেন সবুজ রহমান। এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটে তিনি পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথের দূরত্ব পাড়ি দিয়েছেন। তিনি বলেন, গুলিস্তান থেকে বাড়ি যাওয়ার বাসে উঠব। কিন্তু এখান থেকেই বাস নড়ছে না। হাঁটলে হয়তো ১৫ মিনিটে গুলিস্তান চলে যেতাম। সঙ্গে বড় বড় কয়েকটি ব্যাগ আর বাচ্চা না থাকলে হেঁটেই চলে যেতাম।

গুলিস্তান, গাবতলী ও সায়েদাবাদ এলাকায় বাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বাসের আসন নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। কখনো কখনো সেই ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাচ্ছে। এদিকে আমিনবাজার থেকে ট্রাক, পিকআপে করে ঢাকা ছাড়ছে অনেকে। সেখানেও নেওয়া হচ্ছে ‘গলাকাটা’ ভাড়া।

ছোট ভাই জিসানকে নিয়ে রংপুরে গ্রামের বাড়ি ঈদ করতে যাচ্ছেন সিয়াম আহাম্মেদ। তিনি বলেন, ‘গাবতলীতে এসে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাড়ি যাওয়ার জন্য কোনো বাস পেলাম না। পরে হাঁটতে হাঁটতে আমিনবাজার চলে আসি। এখান থেকে বাধ্য হয়ে ট্রাকে উঠতে হচ্ছে। তা-ও দুজনের জন্য দুই হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে। ’

গরুবাহী ট্রাকে অস্বস্তির ঈদ যাত্রা

পোশাক শ্রমিক রহিমা খাতুন। চাকরি করেন সাভারের একটি শিল্প-কারখানায়। ছুটি বলতে বছরে দুই ঈদ। তাই শত কষ্ট হলেও অন্তত বছরে দুইবার রংপুরের পীরগাছায় গ্রামের বাড়িতে পরিবারের কাছে যান। তেমনি এবারও ঈদের ছুটিতে বাড়ি যেতে চাইলেও পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। যাত্রীর তুলনায় বাসের সংখ্যা নগণ্য। আশুলিয়ার বাইপাইলে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি। কোনো উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়েছেন ট্রাকে। তবে ঢাকা থেকে ফিরতি পথের কোরবানির পশুর খালি ট্রাকে উঠতে হয়েছে তাঁকে। দুর্গন্ধ-অপরিষ্কার ট্রাকে ভোগান্তি নিয়ে নাক চেপে অস্বস্তির যাত্রা তাঁর।

কেবল রহিমা খাতুন একা নন, তাঁর মতো অনেকেই নিরুপায় হয়ে গোবর মাখানো গশুবাহী ট্রাকে করে যাত্রা করছেন। রহিমা খাতুন বলেন, ‘সকালে এসেছি, দুপুর হয়ে গেছে। কোনো বাস নাই। এত যাত্রী যে কাছে যাওয়ার সুযোগ নাই। পরে বাধ্য হয়ে ময়লা ট্রাকের উঠছি। বাড়ি তো যাওয়া লাগবে। কী আর করা। ’

সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শত শত ঘরমুখী মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। দু-একটি বাস এলেও হুমড়ি খেয়ে পড়ছে যাত্রীরা। তবে আগে থেকেই প্রায় ভর্তি থাকে মানুষে। বাড়তি ভাড়া দিয়ে দু-চারজনকে ওঠালেও তাদের দাঁড়িয়ে যেতে হয়। তবে কোরবানির হাটে পশু নামিয়ে দিয়ে ফিরতি পথে প্রায় ট্রাকই যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর বেশির ভাগই ময়লা ও অপরিষ্কার। ট্রাকে খড়-কুটা ও গোবর মাখানো। দুর্গন্ধ, অস্বস্তি নিয়ে কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে যাত্রা শুরু করেছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও বাসের যাত্রীরা ট্রাক ও পিকআপের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া। গতকাল সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঢাকার দিকে চন্দ্রা এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট এক পর্যায়ে প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

তবে মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও বিদ্যুত্চালিত রিকশা যাত্রী নিয়ে মহাসড়কে চলাচল করছে। যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থেকে বাস না পেয়ে ট্রাক ও পিকআপের ছাদে বাড়ি যাচ্ছে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকার বিভিন্ন কারখানার বেশির ভাগ নারী শ্রমিক। আবার অনেকেই সম্মিলিতভাবে বাস ভাড়া করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

কালিয়াকৈর উপজেলার ভোটঘর এলাকার এন্ডি কংক্রিট ট্রেডসের শ্রমিক মিজানুর রহমান, সোহেল মিয়া ও মমিন মিয়া জানান, তাঁরা পাঁচজন গোবিন্দগঞ্জ যাবেন। বাসে উঠতে পারছেন না। ট্রাকে প্রতিজন ৫০০ টাকা করে ভাড়া চাচ্ছে। বেতনের একটি বড় অংশ বাড়ি যেতে গাড়িভাড়া দিতে হবে। তা-ও আবার সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছেন।

এদিকে সেতুর ওপর গাড়ি বিকল ও অতিরিক্ত যানের চাপে টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ২০ কিলোমিটার অংশে শুক্রবার ভোররাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত যানজট ও ধীরগতি ছিল। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়ক স্বাভাবিক হতে থাকে। ওই সময় মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পার থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কে এই যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়ে চালক ও যাত্রীরা।

গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। মাঝেমধ্যে যানজট ধীরগতিতে চলছে। সকাল ১১টার পর থেকে মহাসড়ক একেবারে স্বাভাবিক হতে থাকে।

গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা আসা বিনিময় গাড়ির সুপারভাইজার রশিদ মিয়া বলেন, ‘রাবনা বাইপাস থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ভয়াবহ জ্যাম। অনেক সময় ধরে বসে আছি। কখন যে গাড়ি চলবে। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ। ’

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতাউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, সিরাজগঞ্জ প্রান্তে গাড়ি দ্রুত যেতে পারছে না। তাই মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পার থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত গাড়ি একেবারে ধীরগতিতে চলছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটে পড়ছে যাত্রীরা। কাঁচপুর ব্রিজ থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত পার হতে সময় লাগছে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা। সরেজমিনে গিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দেখা যায়, সাইনবোর্ড, শিমরাইল মোড়, কাঁচপুর, মদনপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ সারি। কখনো ধীরগতিতে চলছে, আবার কখনো স্থির হয়ে থাকছে।

কুমিল্লার যাত্রী হিমেল মিয়া জানান, ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গাড়ি ছেড়েছে সকাল ১০টায়। দীর্ঘ জ্যাম ঠেলে গাড়িটি সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে এসেছে দুপুর ১২টায়। এরপর প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে বাস।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল নবীনগর থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের চাপ, আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা, ট্রাফিক আইন না মানাসহ বিভিন্ন কারণে এই যানজট হয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে যানজট সৃষ্টি হতে থাকে। গতকাল বিকেলের দিকেও যানজট ছিল। যদিও মাঝেমধ্যে ধীরগতিতে এগিয়েছে গাড়ি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নয়ারহাট ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। সেতুর পূর্ব পাশে মাত্র ১৮ ফুটের মধ্যে ঢাকাগামী ও আরিচাগামী যানবাহনগুলো আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী তারেক নামের এক যাত্রী জানান, সকাল ৮টায় যাত্রীবাহী উঠেছেন। সকাল সাড়ে ১১টায় ফেরি পার হয়েছেন। এরপর ধামরাই এলাকায় এসে তীব্র যানজটের কবলে পড়েন তিনি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি সাভারের আমিনবাজার পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছেন।

পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় ৪ কিমি যানজট

পদ্মা সেতুতে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লজায় গতকাল সকালের দিকে চার কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। টোল প্লাজার অভিমুখে শ্রীনগর উপজেলার পুরনো ফেরিঘাট পর্যন্ত এ সারি দীর্ঘায়িত হয়। ব্যক্তিগত ও গণপরিবহনের পাশাপাশি পণ্যবাহী যানবাহনও ছিল প্রচুর। একসঙ্গে অনেক গাড়ি টোল প্লাজায় চলে এলে যানবাহনের লাইন পড়ে যায়। মোটারসাইকেলও চলেছে এক্সপ্রেসওয়েতে। শিমুলিয়া থেকে মোটারসাইকেল নিয়ে ফেরিও ছেড়ে গেছে।

পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসাইন জানান, ঈদ যাত্রায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। কয়েক কিলোমিটার সড়কে যানবাহন ধীরগতিতে টোল প্লাজার দিকে এগোচ্ছে। তবে শৃঙ্খলা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা ভালো থাকায় যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় মহাসড়কে আটকে থাকতে হচ্ছে না। ধীরগতি হলেও যানবহনগুলো এগিয়ে যাচ্ছে।

ট্রেনে যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই

গতকাল সকাল থেকে ঢাকার কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রায় সব ট্রেনেই তিনধারণের ঠাঁই ছিল না। ট্রেনের ভেতরে তো বটেই, ছাদেও জায়গা পাওয়া নিয়ে ছোটাছুটি করেছে যাত্রীরা। গতকাল কমলাপুর থেকে আন্ত নগর ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেস, ধূমকেতু, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ে।

আবার নন-মুসলিম কর্মচারী না থাকায় আজ শনিবার রংপুর-ঢাকা রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে—রেলওয়ে এমন বিজ্ঞপ্তি দিলেও সেটি বাতিল করা হয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার বলেন, রংপুর এক্সপ্রেসের কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়নি। এই ট্রেনের শনিবারের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।

কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনগুলোতে হাজার হাজার যাত্রীর চাপ। ট্রেন আসতেই তাতে হুড়োহুড়ি করে যাত্রীরা উঠে পড়ছে। অনেকেই ট্রেনের ছাদে উঠছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘এত বেশি যাত্রীর চাপ এবং মানুষের যে স্রোত, সেটা ঠেকানো যাচ্ছে না। ৬০ থেকে ৭০ হাজার মানুষ ট্রেনে রওনা করেছে, যার প্রভাব কিছুটা পড়েছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, জিআরপি পুলিশ সবাই যাত্রীর চাপের কাছে ব্যর্থ হয়েছে। ট্রেনের ছাদ থেকে যাত্রী নামানো যাচ্ছে না। ’

ফেরিঘাটে উপচে পড়া ভিড়

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর ঢল নেমেছে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে। যাত্রীর চাপে ফেরি-লঞ্চে তিলধারণের ঠাঁই নেই। তবে ফেরি পারের অপেক্ষমাণ যানবাহনের কোনো জট নেই। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে যানবাহন ছাড়াই ফেরিগুলো শুধু যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে। তবে কোনো ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না যাত্রীদের।

লঞ্চ মালিক সমিতির কয়েকজন কালের কণ্ঠকে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কল্পনাও করতে পারিনি এবার ঈদের আগে যাত্রীদের এত ভিড় পড়বে। পোশাক কারখানাগুলোতে ছুটি হওয়ার কারণে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ছোট-বড় ২১টি লঞ্চ চলাচল করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat