পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ থাকাসহ ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিতে মোটরসাইকেলের চাপ অনেকটা বেড়েছে। এছাড়া ঈদের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার থেকে সকল মহাসড়কে সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকার সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
এ খবর শুনে রাজধানী ঢাকা থেকে কর্মজীবী মানুষেরা মোটরসাইকেলযোগে আগেভাগেই তাড়াহুড়ো করে গ্রামের বাড়ি ফিরছেন। তারা জীবনের ঝুঁকির তোয়াক্কা না করে ফেরিতে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা বিকাল ৪টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় অবস্থান করে ফেরিতে মোটরসাইকেল আরোহীদের এই ভিড়ের চিত্র দেখা যায়। ধাক্কাধাক্কি লাগাসহ ফেরি থেকে নামার সময় অনেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়েও গেছে।
গাজীপুর থেকে বউ-বাচ্চা নিয়ে মাগুরাগামী একজন মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, ‘সামনে কোরবানীর ঈদ। বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে গরু কিনতে হবে। হঠাৎ শুনলাম বৃহস্পতিবার থেকে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মোটরসাইকেলে ফ্যামিলির সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছি।’
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ হওয়ার পর থেকে এই নৌরুটে আগের তুলনায় মোটরসাইকেলের চাপ বেড়েছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় চাপ আরও বেড়েছে। বেলা ১১টার দিকে শাহ মখদুম নামের একটি ফেরিতে শতাধিক মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে। অন্যান্য ফেরির চিত্রও একই। বর্তমানে এই রুটে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। ঈদের সময় তা আরও বাড়ানো হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..