কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবেন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে সব ধর্মের স্বাধীনতা থাকবে। আমরা চাই দেশ সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে উঠবে। সব ধর্মের স্বাধীনতা বাংলাদেশে থাকবে, যেটা আমাদের পবিত্র কোরআন শরিফে বলা আছে।
কেউ কারো ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত করবে না বা ধর্ম পালন করায় বাধা দেবে না। বাংলাদেশ সে চেতনায় বিশ্বাস করে। দেশে যে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করি, আমরা লক্ষ করি একেবারে তৃণমূলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করার।
আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুসিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইতিহাসে এটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অতীতে আর দেখা যায়নি। জনগণের ভোটের অধিকার যেন নিশ্চিত থাকে সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, একদিকে ভোটের অধিকার, অপরদিকে বাঙালি জাতির সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামী লীগ কাজ করে গেছে। '৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এই লক্ষ্যে যে দেশের প্রতিটি মানুষ ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকারে ভোট করবে, সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেটাই আমরা করে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাধ্যমেই মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যারা নির্বাচিত হয়েছেন, মনে রাখবেন, আপনারা জনগণের প্রতিনিধি। জনগণ ভোট দিয়ে আপনাদের নির্বাচিত করেছে। যারা ভোট দিয়েছে আর যারা আপনাদের ভোট দেয়নি, আপনারা সবার প্রতিনিধি। কে ভোট দিয়েছে আর কে ভোট দেয়নি সেটা বিষয় না। আপনাদের দায়িত্ব প্রতিটি এলাকার উন্নয়ন, প্রতিটি মানুষের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে কাজ করা। যখন আমি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছি, তখন আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কে ভোট দিয়েছে, কে ভোট দেয়নি সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় না। প্রতিটি মানুষের উন্নয়ন আমার লক্ষ্য। আপনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিটি মানুষের যাতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়, প্রতিটি এলাকায় যাতে সমান উন্নয়ন সেট নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, মানুষ যে বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে ভোট দিয়েছে, সেই বিশ্বাসে যেন কখনো চিড় না ধরে, সেই বিশ্বাস যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই বিশ্বাসকে ধরে রেখে আরো বিশ্বাস যাতে অর্জন করতে পারেন, সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।
অনুষ্ঠানে কুসিকের নবনির্বাচিত মেয়র আরফানুল হক রিফাতকে শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নবনির্বাচিত ৩৬ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
এ জাতীয় আরো খবর..