জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, তথ্য প্রবাহের অবাধ ও সুবর্ণ সময় অতিক্রম করছে বাংলাদেশ। দেশে গণমাধ্যমের কার্যপরিধি এখন অনেক বিস্তৃত। দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে গণমাধ্যম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ডিজিটাল সুবিধা ও ইন্টারনেটের অবাধ প্রসারের কারণে জনগণের সংবাদ জগতের সাথে সার্বক্ষণিক যুক্ত থাকা হচ্ছে।
শনিবার সকালে বাংলা একাডেমিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত তৃতীয় সম্প্রচার সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজেসির সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার বলেন, ব্রডকাস্ট তথা সম্প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ সকলে ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছে। বিশাল কর্মযজ্ঞকে সামনে রেখে জার্নালিস্ট সেন্টার ট্রাস্টি বোর্ডও গঠিত হয়েছে, যা গণমাধ্যমের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমকর্মীদের কর্মেক্ষেত্রে সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্র চর্চা ও বিকাশের সাথে সংবাদ পরিবেশন ও মিডিয়ার অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। তাই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সাংবাদিকবান্ধব নীতিসহ নানামুখী পদপে গ্রহণ করেছে। এরপর ২০১৯ সাল থেকে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়ন, সুরা ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে কাজ করছে। জনস্বার্থে সাংবাদিকতা ও সংবাদকর্মীর সুরা প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজকের এ আয়োজনও প্রশংসনীয়। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা সদস্যদের কল্যাণ সাধন, দক্ষতা বৃদ্ধি, ঝুঁকি মোকাবেলা, কর্মক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি, গবেষণামূলক কাজে সাংবাদিকদের উৎসাহিত করাসহ নানামুখী কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। পাঁচ ক্যাটাগরিতে বিজেসি অ্যাওয়ার্ড গণমাধ্যমকর্মীদের জনস্বার্থমূলক কাজে অনুপ্রাণিত করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..