চলতি অধিবেশনকে বাজেট অধিবেশন না বলে পদ্মা অধিবেশন নামকরণে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার বক্তব্যের পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পদ্মা সেতুকে স্বাধীনতার পর দেশের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অবকাঠামো উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলব না কী নিয়ে কথা বলব? আমরা কি ওনার (রুমিন ফারহানা) কাপড়চোপড় নিয়ে কথা বলব? আমি তো তা করব না। ’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে রুমিন ফারহানার ছাঁটাই প্রস্তাবের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। আগের দিন অর্থ বিল পাসের প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা বলেছিলেন, চলতি অধিবেশনকে পদ্মা সেতু অধিবেশন বা বিএনপি অধিবেশন বলা যায়।
ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নাকি এখানে (সংসদে) খালেদা জিয়াকে বকাবকি করি। আমরা নাকি পদ্মা সেতু নিয়ে বেশি বেশি কথা বলছি। এটা নাকি ছিল সংসদের কাজ। আমরা এই সংসদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আলাপ করেছি। পদ্মা সেতু অবকোর্স বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট অ্যাচিভমেন্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দেওয়ার পর যদি কোনো ঐতিহাসিক তৎপর্যপূর্ণ স্থাপনা হয়ে থাকে, সেটা হচ্ছে পদ্মা সেতু। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তো আমরা পদ্মা সেতু নিয়ে কথা বলব না কী নিয়ে কথা বলব? আমরা কি ওনার (রুমিন ফারহানা) কাপড়চোপড় নিয়ে কথা বলব? আমি তো তা করব না। ’
পরে জননিরাপত্তা বিভাগের বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাব দেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলনে, ‘যুক্তিবিদ্যার সবচেয়ে বড় ফ্যালাসি হচ্ছে যখন কোনো যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ করা। যখন যুক্তি থাকে না, তখন ব্যক্তিগত আক্রমণ আসে। উনি যুক্তি না পেয়ে আমার পোশাক নিয়ে আলোচনা হবে কি না, এমন অভব্য বক্তব্য দিয়েছেন, যা আমরা আইনমন্ত্রীর কাছে আশা করি না। প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, সংসদের স্পিকার একজন নারী। এই বক্তব্য পুরো সংসদের জন্য লজ্জার। ’
এ জাতীয় আরো খবর..