×
  • প্রকাশিত : ২০২০-১০-০১
  • ১৬৪ বার পঠিত

বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন টেলিফোনে 'বাবা আমি নির্দোষ এই খুনের সঙ্গে জড়িত নই সত্যের জয় এক দিন হবেই তোমরা ধৈর্য ধর দ্রুত আপিল করে আমাকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করো কনডেম সেলে আমি ভালো নেই একটি নির্জন কক্ষে রাখা হয়েছে আমাকে'

বরগুনার আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কারাগার থেকে ফোন করে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরকে এমন আকুতি জানান কারাগারের একটি সূত্রে তথ্য জানা গেছে

বুধবার রিফাত হত্যা মামলার রায়ে তার স্ত্রী মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় এরপর থেকে মিন্নিসহ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে বরগুনা জেলা কারাগারে রাখা হয়েছে কারাগার সূত্রে জানা গেছে, সেখানে মিন্নি একাকী একটি কনডেম সেলে রয়েছেন ফাঁসির দণ্ড পাওয়া নারী আসামিদের যে কনডেম সেলে রাখা হয়, বরগুনার এই জেলে এখন মিন্নি ছাড়া সেখানে আর কেউ নেই কারণ ওই কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি মিন্নি

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কারাগার থেকে তার বাবার সঙ্গে কথা বলেন মিন্নি মিনিটের এই কথোপকথনের অধিকাংশ সময়জুড়ে মিন্নি তার বাবাকে দ্রুত আপিল করার কথা বলেনমিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সমকালকে বলেন, মিন্নি ফোনে বলেছে, সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে জেলাখানায় সে ভালো নেই মিন্নির বাবা আরও জানান, ষড়যন্ত্র করে আমার মেয়েকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে

আমি রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবমোজাম্মেল হোসেন আরও বলেন, 'দেশের মানুষ ভিডিওতে দেখেছে আমার মেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার স্বামী রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে সে একাই রিফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তবু এই মামলায় আমার মেয়েকে ফাঁসানো হলো' বরগুনার কারাগার সূত্র জানায়, কারাগারে গতকাল পর্যন্ত মোট বন্দির সংখ্যা ছিল ৫১২ জন তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী বন্দি রিফাত হত্যা মামলার ফাঁসির

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ছয় আসামি ছাড়া অন্য কোনো মামলার ফাঁসির আসামি বরগুনার কারাগারে নেইকারাগারের এক কর্মকর্তা জানান, কনডেম সেলে মিন্নি একা ওই সেলের পাহারায় রয়েছেন একজন নারী কারারক্ষী কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসির আসামি হিসেবে মিন্নিকে কয়েদির পোশাক দেওয়া হয়েছে সাদা রঙের শাড়ির ওপর নীল স্ট্রাইপ রয়েছে এটা সব নারী ফাঁসির আসামিদের দেওয়া হয় নিয়ম অনুযায়ী দুটি শাড়ি তাকে সরবরাহ করা হয় ছাড়া তাকে দেওয়া হয়েছে একটি বালিশ কম্বল আগে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের বালিশ দেওয়া হতো না

কারাবিধি অনুযায়ী তিনটি কম্বল দেওয়া হতো তার মধ্যে একটি কম্বলকে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করতেন আসামিরা এখন একটি কম্বল কমিয়ে একটি বালিশ সরবরাহ করা হচ্ছেজেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী মিন্নি ছাড়া অন্য পাঁচ বন্দিকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি কম্বল দেওয়া হয়েছে ছাড়া প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেওয়া হয়েছেজেলা সুপার আরও বলেন, এই মুহূর্তে বরগুনা জেলা কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলে আছেন ছাড়া রিফাত হত্যা মামলার অপর পাঁচ পুরুষ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে এই পাঁচ পুরুষ বন্দি ছাড়া বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে আর অন্য কোনো পুরুষ বন্দিও নেই। সূত্র: সমকাল।



নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat