পদ্মা সেতু শুধু রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগ স্থাপনই করছে না, বিশ্ব যোগাযোগেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই সেতু। এই সেতুর কল্যাণে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সময় ও দূরত্ব কমবে।

ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের অংশ হবে পদ্মা সেতু। এশিয়ার সমৃদ্ধ দেশ সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু পেরিয়ে ভারত, পাকিস্তান ঘুরে ইউরোপে যাবে ট্রেন। পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম বলেন, এটা কিন্তু রেলসেতুসহ, মানে দুইটা সেতু। মেঘনা সেতু একটা, ভৈরব সেতু একটা। পদ্মা কিন্তু দুইটা সেতু। এটা ছয় লেনের সেতু। ট্রেন কিন্তু যাবে ১৬০ কিলোমিটার গতিতে। এত হাইস্পিড ট্রেন যাবে। এটা ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের একটা অংশ। এই লোডটা সেতুর ওপর দিতে হয়েছে। এই সেতু ১০০ বছরে আর হবে না।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে আমরা এটা করেছি। সিঙ্গাপুর থেকে যখন ইউরোপে ট্রেন যাবে তখন পদ্মা সেতু হয়ে যাবে। অনেক মালামাল নিয়ে যাবে, সুতরাং হেভি লোডেড সেতু বানানো হয়েছে। বিভিন্ন কারণে এটা করতে হয়েছে। সেতুর খরচ কিন্তু ভুলভাবে দেখানো হচ্ছে। তুলনা করলে বাংলাদেশের অন্যান্য সেতু থেকে খরচ কম। মেঘনা ও দাউদকান্দি সেতুতে কত খরচ করেছি। রেলওয়ে সেতুর খরচ কত? সব মিলিয়ে দেখলে খরচ বেশি হয়নি।

এদিকে, ২০২৩ সালের জুন মাসে ২৫ জুন সেতু চালু হওয়ার ঠিক এক বছর পর ‘পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্প’ উদ্বোধন হবে বলে বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।