স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পদ্মা সেতু বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নবদ্বার উম্মোচন করবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, অদম্য সাহসিকতা, দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা ও প্রত্যয়ের প্রকৃষ্ট প্রতিচ্ছবি পদ্মা সেতু। স্বঅর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ এ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বের নিকট বাংলাদেশের দক্ষতা ও সক্ষমতাকে প্রকাশ করেছেন।
আজ শনিবার সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত 'শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু নির্মাণ: বিশ্ব ব্যবস্থায় বাংলাদেশ তথা উন্নয়নশীল দেশসমূহের এক যুগান্তকারী বিজয়' শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্নকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। সেমিনারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. সামসুল আলম, অর্থনীতিবিদ ড. এম খলিকুজ্জামান, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং পানিসম্পদ ও জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্পিকার জনগণের ভালোবাসা না পেলে পদ্মা সেতু হতো না'- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উক্তি উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, পদ্মা সেতু কেবলই ইট পাথর নির্মিত সেতু নয়, এটির সাথে জড়িয়ে আছে কোটি বাঙালির আবেগ, আত্মবিশ্বাস, ভালোবাসা ও গৌরব। প্রধানমন্ত্রীর ওপর জনগণের আস্থার পূর্ণ প্রতিফলনই এই সেতু। তাই পদ্মা সেতুর নির্মাণ এদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতীক, আত্মনির্ভরতার প্রতীক, হার না মানার প্রতীক ও বিজয়ের প্রতীক।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু মোংলা ও পায়রা বন্দরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে শিল্প বিপ্লব ঘটাবে। এ সেতু অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক জিডিপি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এবং দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক ও জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। এই সেতু পদ্মাপারের দুঃখী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার প্রমাণ পদ্মা সেতু। দুর্নীতির অনুমান নির্ভর ধারণা থেকে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গিয়েছিল। এ ধরণের ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক।
তিনি বলেন, কোনো বাঁধাই বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জনগণের অধিকারের প্রশ্নে কোনোদিন মাথানত করেননি। ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি বাংলাভাষা ও স্বাধীনতা। তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শত বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বাংলাদেশের জনগণকে উপহার দিয়েছেন স্বপ্নের 'পদ্মা সেতু'।
পদ্মা সেতু' সম্পর্কে স্পিকার তাঁর পুত্র ও কন্যার মন্তব্য উল্লেখ করে বলেন, নতুন প্রজন্ম মনে করে 'পদ্মা সেতু' হচ্ছে আত্মশক্তির জাগরণ। বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দৃঢ় ঐক্যের সম্মিলিত প্রয়াসই 'পদ্মা সেতু'। তরুণ প্রজন্মের এই উপলব্ধিই বাংলাদেশকে উন্নীত করবে অনন্য উচ্চতায় এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
এ জাতীয় আরো খবর..