বিপুল জনসমাগমের জানাজা শেষে হাটহাজারী মাদ্রাসার গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামীর প্রয়াত আমীর আহমদ শফীকে।
করোনাভাইরাস মহামারিকালীন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই জানাজায় অংশ নেন হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ভক্তসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বহু মানুষ।
স্থানীয় সাংবাদিক আবু তালেব গণমাধ্যমকে জানান, প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে লোকজন দাঁড়িয়ে দুপুরে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেয়। জানাজা পড়িয়েছেন তার বড় ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ।
জানাজায় হেফাজত ইসলামের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরীও বক্তব্যও দিয়েছেন। সম্প্রতি হাটহাজারী মাদ্রাসার নেতৃত্ব নিয়ে সেখানে যে বিক্ষোভ হয় তাতে মি. বাবুনগরীর অনুসারীরা যেসব দাবী তুলেছিলেন তাতে আহমদ শফীর পদত্যাগ দাবীও ছিল।
মৃত্যুর কয়েকঘন্টা আগে মাদ্রাসার পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন আহমদ শফী। এর আগে সকালে আহমদ শফীর মৃতদেহ ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পৌঁছানোর আগেই সেখানকার জানাজায় যোগ দিতে অনুসারীদের ঢল নামে।
অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
অতিমাত্রায় ভিড় তৈরি হওয়ার কারণে হাটহাজারী এলাকায় সড়কপথ বন্ধ করে দেয়া হয়।
বন্ধ হয়ে যায় উপজেলার সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এলাকাটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের উপরে অবস্থিত হওয়ায় এই সড়কপথে জেলাদুটির মধ্যেকার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
সকাল নটা নাগাদ আহমদ শফীর মৃতদেহ সকাল হাটহাজারীতে পৌঁছায়।
সূত্রঃ বিবিসি বাংলা
এ জাতীয় আরো খবর..