×
  • প্রকাশিত : ২০২২-০৬-০২
  • ৭৩ বার পঠিত
আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বেলা ১১টায় কাঁঠালবাড়ী প্রান্তে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ। এতে ১০ লক্ষাধিক লোকের জনসমাবেশের প্রত্যাশা করছে দলটি। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনে জনসভা সফল করতে গতকাল বুধবার (১ জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সমন্বয় বৈঠকে নেতারা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

এদিকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠেয় দলের জনসভার জায়গা আজ পরিদর্শনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। দলের কেন্দ্রীয় ও জনসভা-সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সকালে শিবচরের কাঁঠালবাড়ীতে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাট এলাকার সমাবেশ স্থলে যাবেন।


বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ২৫ জুন আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের কোনো শেষ নেই। মানুষের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আগামী ২৫ জুন। এই দিনটিকে ঘিরে সারা দেশে মানুষের মধ্যে উত্সাহ-উদ্দীপনা ব্যাপক। এটি কীভাবে উদযাপিত হবে সেটি নিয়ে আমরা আজকের প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছি। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর আমাদের জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি বেলা ১১টায় শুরু হবে পদ্মার পাড়ে কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে। আমরা এই জনসভা সফল করতে চাই। এই জনসভাকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা ও ঢাকার আশপাশের মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি হবে। এই জনসভা সফল করতে গতকাল আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের নেত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে যে জনসভাটি হবে সেখানে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে একটি বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এই জনসমুদ্র হবে উৎসবের জনসমুদ্র। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আমাদের দিনব্যাপী অনুষ্ঠান হবে এবং তারপর সেখানে কালচারাল অনুষ্ঠান হবে।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এ জনসভা সফল করতে আমরা সবার সহযোগিতা চাই। সেখানে সবার অংশগ্রহণকে আমরা স্বাগত জানাবো। এক প্রশ্নের জবাবে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পদ্মা সেতু সারা বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা। এটা নিয়ে যদি কেউ কোনো নীলনকশা করে থাকে তাহলে দেশের জনগণই তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে এবং তাদের প্রতিহত করবে। কেউ এটি নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারবে না।


জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন আমাদের জন্য খুবই আনন্দের ব্যাপার। আমরা জানি এর গুরুত্ব কতটুকু। পদ্মা সেতু আমাদের দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির শেকড়। এর কারণে আমাদের অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসবে। এর উদ্বোধন আমাদের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা ও তার আশপাশে থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ জন আসবে। এছাড়া বরিশাল বিভাগ থেকে আমাদের লোকজন আসবে। তাই আমরা মূল জনসভার আগে সে সব অঞ্চলের সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে মিটিং করব। আমাদের চিফ হুইপের নির্বাচনি এলাকা শিবচরে সুষ্ঠু সুন্দর একটি মিটিং এর আয়োজন করব। বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat