রেকর্ড ১৪ বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। গতরাতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ২০২১-২২ মৌসুমের ফাইনালে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। এই ম্যাচে রিয়ালের জয়ের নায়ক বেলজিয়ামের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। সালাহ, মানেদের দুর্দান্ত কয়েকটি আক্রমণ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন তিনি। এগুলো না ঠেকালে হয়তো ট্রফি উঁচিয়ে ধরা হতো না রিয়াল মাদ্রিদের।
তাইতো ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে কোর্তোয়ার হাতে। চারদিকে এখন তার বন্দনা চলছে। কেউ বলছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ডিফেন্স করেছেন বেলজিয়াম তারকা। কোর্তোয়ার প্রশংসায় টুইট করেছেন রিয়ালের কিংবদন্তী গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াসও। তবে এমন পারফরম্যান্সের পর গর্বিত হওয়ার পাশাপাশি কিছুটা আক্ষেপও ঝড়েছে কোর্তোয়ার কন্ঠে। জানিয়েছেন, তিনি না কি এতবছর ধরে প্রাপ্য সম্মান পাননি। এবার সেটা ডিজার্ভ করেন।
লিভারপুলের বেশ কয়েকটি আক্রমণ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন কোর্তোয়া!
গতরাতে প্রথমার্ধে বেশ দাপট দেখিয়েছে লিভারপুল। তাদের অন্তত নিশ্চিত দুটি গোল ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। পরে দ্বিতীয়ার্ধে একটি সুযোগ পায় রিয়াল মাদ্রিদ এবং সেটিই জালে পাঠিয়ে দেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ম্যাচশেষে বিটি স্পোর্টসকে কোর্তোয়া বলেন, ‘মাদ্রিদ ফাইনালে পৌঁছানোর পর আমি বলেছিলাম তারা জিতবে। আমি ইতিহাসের ভালো অংশে আছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি আমার প্রশংসায় অসংখ্য টুইট আসছে। আমি আজ কৃতজ্ঞ। তবে এখানে আরও একটি অধ্যায় আছে।’ ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদে নাম লেখানোর আগে চেলসিতে সাত বছর কাটিয়েছেন কোর্তোয়া। নীল জার্সিধারীদের হয়ে দুইবার প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছেন ৩০ বছর বয়সী এই তারকা। এরপর রিয়ালের হয়ে দুটি লা লিগা জিতেন। এবার ঝুলিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাও যুক্ত হলো। চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের মৌসুমে তার গোল সেভ করার পার্সেন্টিজ ৮০.৫৬ শতাংশ।
কোর্তোয়া বলেন, ‘ক্যারিয়ারে এত এত কঠোর পরিশ্রম করার পর আমার অন্তত একটা ফাইনাল জেতা দরকার ছিল। সেটি আমার নামের পাশে সম্মান ফিরিয়ে আনার জন্যও। আমি যথেষ্ট সম্মান পাইনি, বিশেষ করে ইংল্যান্ডে। এমনকি অসাধারণ একটি মৌসুম কাটানোর পরও অনেক সমালোচনা শুনেছি।’
কোর্তোয়াকে নিয়ে ইকার ক্যাসিয়াসের টুইট
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে বেশ কয়েকটি বড় ক্লাবকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ ষোলোতে পিএসজি, কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসি, সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি ও ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়েছে তারা। যেখানে বড় কৃতিত্ব ছিল কোর্তোয়ার। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বের কয়েকটি সেরা ক্লাবকে হারিয়েছি। সিটি ও লিভারপুল এই মৌসুমে অবিশ্বাস্য ছিল। তারা প্রিমিয়ার লিগের শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। লিভারপুল দুটি ট্রফি জিতেছে এবং তারা সত্যিই অনেক শক্তিশালী।’
এদিকে, ২০০৫ সালে লিভারপুলকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতানো অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড বলেছেন, ‘যদি তার (কোর্তোয়া) নামের পাশে সম্মান না থাকে, সেটা আজ থেকে হবে। সে মাঠে সেরা খেলোয়াড় ছিল। লিভারপুল খুব একটা ভুল করেনি। তারা একজন সেরা গোলকিপার ও ডিফেন্সের বিপক্ষে খেলেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..