বায়ুদূষণ কমাতে ধুলাবালি নিবারণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটানোর কাজ শুরু করেছে। সকাল থেকে দুটি স্প্রে ক্যানন বহনকারী গাড়ি ডিএনসিসি এলাকার মহাসড়কে পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বনানী নেভিগেট থেকে সকালে স্প্রেরের কাজ শুরু করে ক্যানন-১। এয়ারপোর্ট, উত্তরা হাউস বিল্ডিং হয়ে আবার বনানী কবরস্থান এলাকায় গিয়ে কাজ শেষ করে। অন্যদিকে ক্যানন-২ মিরপুর রোড/মাজার রোড সিগন্যাল থেকে স্প্রের কাজ শুরু করে। এরপর গণভবন এলাকায়, মানিক মিয়া এভিনিউ, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, মগবাজার হয়ে গাবতলী গিয়ে পানি ছিটানো শেষ করে বলে জানায় ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ।
মহাসড়ক ছাড়াও ডিএনসিসি এলাকার অন্যান্য সড়কগুলোতে ১০টি ওয়াটার ব্রাউজার (পানি ছিটানোর মেশিন) দিয়ে প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে দুইবার পানি ছিটানো হয়। শীতকালে ধুলাবালির পরিমাণ বেশি থাকায় পানি ছিটানোর কাজ চলমান থাকবে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
ডিএনসিসির আওতাধীন পুরো এলাকার মহাসড়ককে দুটি ভাগে ভাগ করে একদিন অন্তর অন্তর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এমন দুটি মেশিন বহনকারী গাড়ি দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। মূলত বায়ুদূষণ কমাতেই পানি ছিটানো হয়। প্রতিটি গাড়িতে ১৫ হাজার লিটার পানি ধরে এবং একটানা ৫ ঘণ্টাব্যাপী স্প্রে করতে পারে। এ ছাড়া রাস্তা ভেজানোর জন্যও রয়েছে স্প্রিং লেয়ার সিস্টেম।
উল্লেখ্য, নির্মাণাধীন সড়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বেশি পরিমাণ পানি ছিটানো হয়। এ ছাড়া অন্যান্য সংস্থা এবং মেট্রোরেল, বিআরটি, এক্সপ্রেসওয়েসহ অন্যান্য চলমান প্রকল্প ও যে কোনো ভবন নির্মাণের সময় ধুলাবালি সৃষ্টি হয়। তাই বায়ুদূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি না হয় সে জন্য সমন্বয় সভায় নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..