নিজস্ব প্রতিবেদক : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২২ সালের শেষদিকে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৩ সালে উৎপাদনে আসবে ইতিপূর্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। শুরুতে নির্মাণকাজও চলেছে সেভাবেই। কিন্তু এর পরও বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যথাসময়ে উৎপাদনে আসতে পারছে না। বড় দুটি ধাক্কা অন্তত দুই বছর পিছিয়ে দিয়েছে। প্রথমটি করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব। মহামারীর এ আঘাত কাটিয়ে ওঠার পর বড় ধাক্কা হয়ে দেখা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব। প্রসঙ্গত, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে রাশিয়ার সরকারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম স্টেট অ্যাটমিক এনার্জি করপোরেশনের অধীনে।
সর্বশেষ, গত বৃহস্পতিবার রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের জানান, রূপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ২০২৪ সালের শেষদিকে। সেটিও নির্ভর করছে বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সামনে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জানা যায়, প্রথম দিকে প্রকল্পটি হোঁচট খায় ২০২০ সালে বিশ^ব্যাপী কোভিড শুরু হওয়ার পর। তবে কোভিডের ধাক্কা সামলেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সবচেয়ে
বড় ধাক্কা এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায়। রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিকসহ নানা নিষেধাজ্ঞার কারণে রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে। সর্বশেষ, রূপপুর প্রকল্পের জন্য রাশিয়া থেকে আসা একটি জাহাজের মাল খালাসে যুক্তারাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্টি হয়েছে সংকট। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আরও মালামাল আসবে রাশিয়া থেকে। সে ক্ষেত্রেও সংকট সৃষ্টি হতে পারে, দেখা দিতে পারে নানা প্রতিবন্ধকতা। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়েই দেখা দেবে।
এ জাতীয় আরো খবর..