থাইল্যান্ডের আইনপ্রণেতাদের সমর্থনে ধনকুবের ও সাবেক দেশপ্রধান থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। থাকসিন সিনাওয়াত্রার ৩৭ বছর বয়সী কন্যা আজ শুক্রবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। পেতংতার্নের নিয়োগের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের বিতর্কিত ও প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের তৃতীয় সদস্য দেশের শাসনভার পেলেন। পেতংতার্ন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে তার ফুফুও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সাংবিধানিক রাজতন্ত্র অনুসরণ করে থাইল্যান্ড।
এর আগে বুধবার (১৪ আগস্ট) থাইল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। রায়ে থাভিসিনের মন্ত্রিসভাও ভেঙে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়।
ফলে থাভিসিনকে বরখাস্ত করার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে বাধ্য হয় দেশটির পার্লামেন্ট। স্রেথা ও পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা।
স্রেথার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন’ করেছেন।
২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। তবে তারা জোট সরকার গড়ে তোলে।
আজ পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি। পেতংতার্ন ২০২১ সালে ফেউ থাই পার্টিতে যোগ দেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে তাকে দলের নেতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি তার বাবা এবং ফুফুর ভাগ্য এড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর পেতংতর্ন বলেছেন, ‘তিনি খুব সম্মানিত এবং খুশি।’ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সত্যিই আশ করছি আমি মানুষকে আত্মবিশ্বাসী বোধ করতে পারব। আমি জীবনের মান উন্নত করতে এবং থাইদের ক্ষমতায়নের আশা করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি দেশ ও দলের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। আমি আশা করি, দেশকে এগিয়ে নিতে আমি আমার সেরাটা দিতে পারব।’ থাইল্যান্ডের স্কুল এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন পেতংতার্ন।
সূত্র : এএফপি
এ জাতীয় আরো খবর..