দীর্ঘ ১১ বছর পর আইসিসির কোনো ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের পর ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে আর কোনোবার শিরোপা জিততে পারেননি রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা।
সেই দীর্ঘ খরা এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাটিয়েছে ভারত। আর তাতে অনবদ্য অবদান জাসপ্রীত বুমরার।
তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছাড়া ভারতের বিশ্বকাপ জয় কঠিন ছিল। বিশ্বকাপে এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে টুর্নামেন্ট সেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। এবার তার নামের পাশে আরেকটি স্বীকৃতি জুটেছে। জুন মাসের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ভারতীয় পেসার।
সেরার পুরস্কার জিততে বুমরা পেছনে ফেলেছেন জাতীয় দলের সতীর্থ ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা আর আফগানিস্তানের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে বল হাতে যা করেছেন তাতে মনে হয়েছে পুরস্কারটা প্রাপ্যই ছিল তার। বিশেষ করে ফাইনালে যখন ম্যাচ বের করে নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ঠিক তখন নিজের শেষ দুই ওভারে ম্যাচের মোড় ঘুরে দেন ৩০ বছর বয়সী পেসার। বিশ্বকাপে মাত্র ৪.১৭ ইকোনমিতে ১৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে মেয়েদের মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন স্মৃতি মান্ধনা। গত মাসজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিই পেয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই করার পথে দুটি সেঞ্চুরি করেন ভারতীয় ব্যাটার। আরেক ম্যাচে করেন ৯০ রান। সঙ্গে মাসের শেষ দিকে একমাত্র টেস্টে ১৪৯ রানের ইনিংস খেলেন মান্ধানা।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই মাসসেরার তালিকায় জায়গা পাওয়া অন্য দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের মায়া বুশিয়ে এবং শ্রীলঙ্কার ভিশ্মি গুণারত্নেকে পেছনে ফেলা সহজ হয়েছে মান্ধানার। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েও সেরা না হওয়ার আক্ষেপ দূর হয়েছে তার।
বুমরা-মান্ধানা মাসসেরার পুরস্কার পাওয়ায় একটা রেকর্ডও হয়েছে ভারতের। এর আগে কখনো একই মাসে একই দলের নারী ও পুরুষ ক্রিকেটার মাসসেরার পুরস্কার জিতেছেন এমন নজির ছিল না। সেই ইতিহাস এবার বদলে ফেললেন ভারতের দুই ক্রিকেটার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এই পুরস্কার দেওয়ার রীতি চালু হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..