অতীতেই অনুপ্রেরণা খুঁজছে ব্রাজিল। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের স্বর্ণালি সময়ের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো প্রকাশ করে নিজেরা উদ্বুদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে। কোপা আমেরিকার শেষ আট থেকে ছিটকে যাওয়ার পর নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে এমনিই এক উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন।
ফুটবল ইতিহাসে নিজেদের গৌরবময় অধ্যায়গুলো একটি ভিডিওতে ধারণ করে তা প্রকাশ করেছে ব্রাজিল।
সেই ভিডিওতে পেলে-গারিঞ্চা-কাফু-রোনালদোদের বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্তগুলো দেখানো হয়েছে। আর একজন ধারাবিরণীতে শোনাচ্ছেন আগামীতে ব্রাজিল ভালো কিছু করবে এমন আশার বাণী।
সর্বশেষ ২০০২ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। আর ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকেই আর কোনো মেজর টুর্নামেন্টে শিরোপা জিততে না পারা সেলেসাওরা এবার স্বপ্ন দেখছিল কোপা আমেরিকায়।
কিন্তু সর্বশেষ বিশ্বকাপের মতো মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চেও কোয়ার্টার ফাইনালের টাইব্রেকারে হৃদয় ভেঙেছে তাদের। এই শোককে শক্তি করেই ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা।
নিজেদের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত ভিডিওতে সেই আশার বাণীই শুনিয়েছে ব্রাজিল। ভিডিওর ধারাবিবরণী দেওয়া পুরুষকণ্ঠটি বলেছেন, ‘ গ্রহের সবচেয়ে সফল দল আমরা, আর অবশ্যই পরাজয়ও আমাদের ইতিহাসের অংশ।
আমরা যতবার জিতেছি, তার চেয়ে বেশিবার হেরেছি। আমরা ৫টি বিশ্বকাপ জয়ের বিপরীতে হেরেছি ১৭টি।’
পরাজয় ব্রাজিলকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে বলে ভিডিওর একটা অংশে বলা হয়, ‘পরাজয়ের মধ্য দিয়েই আমাদের ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। এর আগেও আমাদের শেষ দেখেছিল অনেকে। কিন্তু মানুষ দেখেছে কিভাবে ফুটবলে আমরা রাজত্ব করেছি।
যার প্রমাণ পাঁচটি বিশ্বকাপ জয়।’
সর্বশেষ পুরুষকণ্ঠটিকে বলতে শোনা যায়, কিভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ট্রফিতে জিততে হয় তা ভালো করেই জানে ব্রাজিল, ‘ব্রাজিলিয়ানদের চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না কিভাবে প্রত্যাবর্তন করতে হয়। ব্রাজিলের আছে তিন এস—সুপারাসাও (প্রত্যাবর্তন), সানগে (রক্ত) ও সুয়োর (ঘাম)। বল যত দিন থাকবে আমরাও তত দিন খেলাটিতে থাকব। মনে রাখবেন, এটাই ব্রাজিল। আজ হারছি, তবে আগামীকাল আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। আমাকে বিশ্বাস করুন, আগামীকাল আমরা জিতবই।’
এ জাতীয় আরো খবর..