×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৭-০৮
  • ৬৬ বার পঠিত
প্রতারণার ষড়যন্ত্রের দায় স্বীকার করতে চলেছে বোয়িং। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিওজে) এ কথা জানিয়েছে।

২০১৮ সালে মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে বোয়িংয়ের দুটি ম্যাক্স ৭৩৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়। অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা যায় ১৮৯ জন।

পাঁচ মাস পর ইথিওপিয়ায় বিধ্বস্ত হয় আরেকটি বিমান। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় ১৫৭ জন।
প্রতারণার ষড়যন্ত্রের দায় স্বীকার করলে দুটি দুর্ঘটনার জন্যই বোয়িং কম্পানি দোষী সাব্যস্ত হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ২৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা হবে। এর ফলে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে তাদের লাভজনক চুক্তির সম্ভাবনাও কমবে।

যে কারণে দোষ স্বীকার
আরো কঠোর তদন্ত ও বড় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এড়াতেই ইতিমধ্যে দায় স্বীকারে রাজি হয়েছে বোয়িং। গত মে মাসে ডিওজে জানতে পারে, ২০১৮ সালের দুই বিমান দুর্ঘটনার পর বোয়িং কর্তৃপক্ষ যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল, তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতো।

মামলার শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, চুক্তি লঙ্ঘন করে বোয়িং কর্তৃপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল এভিয়েশন আডমিনিস্ট্রেশনের চোখে ধুলা দিয়েছে্।

বোয়িংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ম্যাক্স ৭৩৭ বিমানকে ধীর গতিতে চলতে সহায়তা করে—এমন একটি সফটওয়্যারের বিষয়ে ফেডারেল এভিয়েশন আডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে আলোচনায় তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। 
২০১৮ সালে দুটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়। গত সপ্তাহে তাদের অনেকেই জানান, তারা মনে করছেন বোয়িং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ‘মিষ্ট হৃদয়ের চুক্তি’ করেছে। বোয়িং কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তারা আদালতে যাবেন বলেও জানান।

ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ায় বিমান দুটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫০ কোটি ডলার দিয়েছিল বোয়িং কর্তৃপক্ষ।

এবার প্রতারণার ষড়যন্ত্রের দায় স্বীকার করে জরিমানা হিসেবে ২৪৩ মিলিয়ন ডলার দেবে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat