বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সহযোগিতা করলে স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার
রোববার (২৬ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি একথা বলেছেেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের কর্মীদের বৃত্তি দেয়ার মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। পর্যটন শিল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা দুই দেশের জনগণের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। এছাড়া বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। জনশক্তি রফতানিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গত ১৫ বছরে দুই দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা অসীম। পর্যটনের এই অফুরন্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প সম্পর্কিত ব্যবসায় অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়ার পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা রয়েছে। তারা চাইলে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ এবং এ দেশের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। সরকার পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে এরইমধ্যে টেলিকমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করার বিষয়টিও সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে দুই দেশের যৌথভাবে কাজ করতে পারাটা হবে আনন্দের। এছাড়াও মালয়েশিয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে বৃত্তি দিয়ে থাকে, যার মধ্যে পর্যটন সম্পর্কিত বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পর্যটন সম্পর্কিত বিষয়ে বৃত্তি যেন আরও বৃদ্ধি করা হয় সে বিষয়ে চেষ্টা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
হাইকমিশনার আরও বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো শ্রমবাজার। বাংলাদেশ থেকে যে সমস্ত কর্মী মালয়েশিয়া যাবেন, তারা যথাযথ ভিসা নিয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে সেখানে যাবেন এবং আইনগতভাবে অবস্থান করবেন। কর্মীদের দক্ষতা এবং সুনাম যত বাড়বে, তত বেশি বাংলাদেশ এই শ্রমবাজার ব্যবহার করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ জাতীয় আরো খবর..