‘শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছি’- এমন বক্তব্য দেওয়ার একদিন পর তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ শুক্রবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মূলত বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ভারতের সহযোগিতা চেয়েছি।
মোমেন বলেন, ‘দুষ্ট লোক’ দুই দেশেই আছে এবং উসকানি দিয়ে ও তিলকে তাল করে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়। তারা সুযোগ না পেলে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই শান্তি ও স্থিতিশীল থাকবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরূদ্ধে শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ (ছাড় না দেওয়া) নীতির কারণে আসাম রাজ্য স্থিতিশীল হয়েছে। সেখানে এখন বিনিয়োগ হচ্ছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্য তিনি নয়াদিল্লির কাছে তুলে ধরেছেন।
মোমেন বলেন, ‘আমি বলেছি শেখ হাসিনা যদি সরকারে থাকেন তাহলে স্থিতিশীলতা থাকে। স্থিতিশীলতা থাকলেই আমাদের উন্নয়নের মশাল অব্যাহত থাকবে। ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁর গত বৃহস্পতিবারের বক্তব্য গণমাধ্যম ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছে। তিনি বলেন, দেশে সবার বাক স্বাধীনতা রয়েছে। তাই সবাই সব কথা বলতে পারেন। তবে বক্তব্য অন্যভাবে উপস্থাপন হলে দুঃখ লাগে। তিনি গণমাধ্যমকে একটু সহনশীল হওয়ার অনুরোধ জানান।
এর আগে সপ্তাহে সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জনগণ ‘বেহেশতে’ আছে। সেই খবরটিও গণমাধ্যম আংশিক বা অন্যভাবে উপস্থাপন করেছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে তিনি কিভাবে বলছেন যে বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে।
এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের জনগণ খুব কষ্টে আছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে গেল। যে তেল ৯০ টাকা ছিল সেটা হয়ে গেল ১৫০ টাকা। আমি এটা কোনোভাবে অংকে মেলাতে পারি না। সর্বমোট ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা প্রতি লিটারে। দাম ধরা উচিত ছিল, এক টাকা বা কয়েক পয়সা। কিন্তু একি কান্ড! যে এত দাম!
মন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুর দাম হুহু করে বেড়ে উঠল। আমরা এই জন্য খুব উদ্বিগ্ন। শেখ হাসিনার সরকার সাধারণ মানুষের বন্ধু। আমরা সরকারে আছি সাধারণ লোকের জন্য। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেটা আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। ’
তিনি বলেন, ইসরায়েলে যখন যুদ্ধ হয় তেলের দাম বাড়ে আর পৃথিবীতে খাদ্য ঘাটতি হয়। এখন ৫০ বছর পরে আমি তাজ্জব। এখনও তেলের দাম বেড়েছে। একটা যুদ্ধ লেগেছে আর খাদ্য দ্রব্যেরও দাম বেড়েছে। এটা খুব আশ্চর্যের বিষয়। তবে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ এ দেশটা আমাদের। দেশে যদি অস্থিতিশীলতা তৈরি হয় তাহলে যারা অপপ্রচার করে তারাও ভালো থাকতে পারবে না।
এ জাতীয় আরো খবর..