গুচ্ছ ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক শাখা) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামি মো. আকতারুল ইসলামের রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন আসামিকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামিপক্ষে জামিন ও রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদদীন বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন-মূলহোতা মো. রাব্বি, প্রক্সি দিতে আসা শিক্ষার্থী মো. আকতারুল ইসলাম ও মূল শিক্ষার্থী সিজান মাহফুজ। এ মামলায় গত ১৪ আগস্ট আসামি আকতারুলকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. নাহিদুল ইসলাম। এদিন আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ রিমান্ড শুনানির জন্য ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশ পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের একটি কক্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী পরিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই করছিলেন। এ সময় আকতারুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ও সংযুক্ত ছবির সাথে তার চেহারার মিল না থাকার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক শিক্ষার্থী জানায়, পলাতক আসামি সিজান মাহফুজ ও মূলহোতা রাব্বির পরামর্শ, প্ররোচনায় ও সহযোগীতায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে বলে সে স্বীকার করে।
এ জাতীয় আরো খবর..