বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের জন্য বাসভবন নির্মাণ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে সংসদ ভবন এলাকায় নির্মিত স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন বৈধতা পেয়েছে বলে মনে করছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দেড় যুগ আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল গ্রহণ করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানজিব উল আলম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন নির্মাণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে নির্মিত স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন বৈধতা পেয়েছে। ’
২০০২ সালে সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরের বছর এ নির্মাণকাজের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টসের পক্ষে রিট করা হয়। আমেরিকার বিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের জাতীয় সংসদ ভবনের নকশা লঙ্ঘন করে এ নির্মাণকাজ চলছে বলে তখন রিটে উল্লেখ করা হয়।
সে রিটের চূড়ান্ত শুনানির পর ২০০৪ সালের ২১ জুন হাইকোর্ট সংসদ ভবন এলাকায় স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনের নির্মাণকাজ অবৈধ ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে সংসদ ভবন এলাকাকে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণার নির্দেশ দেন আদালত।
পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ ওই রায় স্থগিত করে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেন। এদিকে হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকার মধ্যেই স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল গ্রহণ করে আপিল করার অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত। সে আপিল গ্রহণ করেই মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায় বাতিলের রায় দেন আপিল বিভাগ।
এ জাতীয় আরো খবর..