আজ বিশ্ব বাঘ দিবস। বিশ্বে এখন বাঘ আছে মাত্র ১৩টি দেশে। বেশির ভাগ দেশই ভৌগোলিকভাবে পড়েছে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া আর দূরপ্রাচ্যে। কিন্তু বাঘ এমনই একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত ভয়, শিহরণ আর তীব্র আকর্ষণ ঘেরা প্রাণী যে পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষই এদের ভালোমন্দ নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহী।
গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে বাঘ উৎসাহী বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও শৌখিন প্রকৃতিবিদরা আতঙ্কের সঙ্গে লক্ষ করেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অরণ্যরাজি, ঘাসের মাঠ দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। দ্রুত নগরায়ণে বনের গাছ উজাড় হচ্ছে, ঘাসের মাঠ বা গ্রামীণ ঝোপজঙ্গল কৃষিজমিতে পরিণত হচ্ছে। একই সঙ্গে ফুলেফেঁপে উঠছে জীবন্ত বন্য প্রাণী বা বন থেকে শিকার করা প্রাণীর দেহের অংশ—মাংস, হাড়গোড়, চামড়া, শিশু বন্য প্রাণী বেচাকেনার বাজার।
অবস্থা যখন চূড়ান্ত নৈরাশ্যে পৌঁছেছে, তখন ১৯৭৩ সালে বাঘ প্রকল্প চালু করে ভারত বিশ্ববাসীকে আবার আশায় বুক বাঁধতে সহায়তা করে। ভারতের অনুসরণে বাঘ অধ্যুষিত অন্য দেশের অভয়ারণ্যগুলো বাঘ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা শুরু হয়। ফলে দেশগুলোতে বাঘের সংখ্যা (পায়ের ছাপ বিশ্লেষণ করে) দুই হাজার ৮০০ থেকে ১০ বছরে বেড়ে চার হাজারে দাঁড়ায়। কিন্তু স্বস্তি এলো না। বাঘবিজ্ঞানীরা দেখতে পেলেন, বাঘের জঙ্গলগুলো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হয়ে গেছে। এদের মধ্যে সংযোগ করিডর নেই। ফলে জিনপ্রবাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে বাঘের অস্তিত্ব হুমকিতে পড়ার আশঙ্কা দেখেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা খোঁজখবর করে জানতে পারলেন, বাঘ প্রকল্পের অরণ্য অঞ্চলগুলোয় প্রাণীটির অবস্থা অনেকটা কাজির গোয়ালের গরুর মতো—কাগজপত্রে আছে, বাস্তবে নেই। ভারতের অনেক রিজার্ভে বাঘই নেই। এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর টালমাটাল সময়ে তথাকথিত দক্ষিণ চীনা বাঘ শেষ হয়ে গেছে। বিশালদেহী সাইবেরীয় বাঘও করুণ দশায় পৌঁছেছে।
বন্য প্রাণীর দেহাংশ বাণিজ্যের নিবারক সংস্থা সাইটেসের (CITES) গোয়েন্দা তৎপরতায় উঠে এসেছে মারাত্মক অশনিসংকেত। তাদের তদন্তে এসেছে, বিশ্বে বন্য প্রাণীর দেহাংশের বাণিজ্যের বার্ষিক আদান-প্রদান আড়াই শ কোটি ডলার। এর মধ্যে বড় একটি অংশজুড়ে আছে বাঘের দেহাংশ। বিশেষ করে হাড়গোড়। এই বাঘের দেহাংশের মূল ক্রেতা চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকং। অবশ্য লাও প্রজাতন্ত্র, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াতেও বাঘের দেহাংশের বাণিজ্য চালু আছে। অনেক চীনার বিশ্বাস, বাঘের মাংসের ভেজিটেবল রেসিপি, দেহের নানা অংশের স্যুপ, হাড়ের ওয়াইন নাকি দারুণ পৌরুষবর্ধক!
সাইটেসের হিসাব অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ১৩টি বাঘের দেশে সরকারিভাবে প্রাণীটির চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে এক হাজার ৭৫৫টি। অধরা রয়ে গেছে নিশ্চয়ই এই সংখ্যার অনেক বেশি।
বাঘের এই করুণ পরিস্থিতিতে আশা জাগাতে উদ্যোগী হয় বিশ্বব্যাংক। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্পিসিজ সারভাইভাল কমিশন, আইইউসিএন, বিশ্ব বন্য প্রাণী তহবিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ট্রাস্ট প্যান্থেরা, সাইটেসসহ নানা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তাদের উদ্যোগে বিশ্বের ১৩টি বাঘ অধ্যুষিত দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা রাশিয়ার সেন্টপিটার্সবার্গে মিলিত হয়ে বাঘ বাঁচানোর জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অঙ্গীকার করেন। সম্মেলন শেষে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছিল, প্রতিবছর জুলাই মাসের ২৯ তারিখ বিশ্ব বাঘ দিবস হিসেবে পালিত হবে। আর ২০২২ সালের মধ্যে প্রকৃতিতে থাকা বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে।
শুনতে নিশ্চয়ই খুব ভালো লেগেছিল, কিন্তু বিশ্বব্যাংক ডান হাতটি উঁচু করেছিল, বাঁ হাতটি তলার কোথায়, তার হদিস তারা দেয়নি। নিজেরাও পেয়েছে কি না, সে সংবাদ আমরা পাইনি। তবে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে বাঘ তাদের ঐতিহাসিক আবাসের ৪০ শতাংশ হারিয়ে বসে আছে। বিশেষজ্ঞরা ২০১০ সালের ক্ষেত্রসমীক্ষায় জানিয়েছেন, ১৩টি দেশের ৭০ শতাংশ বাঘ বাস করে ৪২টি উর্বর এলাকায়। এই এলাকাগুলোয় উদ্বৃত্ত বাঘ জন্মানো ও তাদের স্থান সংকুলান সম্ভব। বাকি এলাকাগুলোর কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
এর মধ্যে বাঘ বিশেষজ্ঞরা আমাদের আলোকিত করেছেন দুটি তথ্য দিয়ে। একটি হচ্ছে, বাঘের উপপ্রজাতি দুটি। একটি উপপ্রজাতি সুন্দা বা ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের বাঘ। অন্যটি না বলে অন্যরা—উপমহাদেশ থেকে শুরু করে রাশিয়া অবধি যেসব বাঘের অস্তিত্ব আছে বা একসময় ছিল তারা সবাই হরেদরে এক প্রজাতি। ডিএনএ বিশ্লেষণে এটাই নাকি পাওয়া গেছে। অথচ এত দিন আমরা হেদিয়ে মরছিলাম পূর্বতন বিজ্ঞানীদের নির্ধারিত আটটি উপপ্রজাতির ছেঁড়া তমসুদ জোড়াতালি দেওয়া নিয়ে। আরেকটি তথ্য হলো, এক অঞ্চলে ২০টি বাঘ-বাঘিনী থাকলেও সেটা আশাপ্রদ। অথচ আগের ধারণা ছিল, ২০০ প্রাণী না থাকলে তার জেনেটিক ভবিষ্যৎ নেই।
বাঘের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে বিজ্ঞানীদের সন্দেহের দোলাচলে থাকার মধ্যে ২০১৫ সালে আইইউসিএন জানায় সংখ্যা বাড়ার তথ্য। সংস্থাটি বলেছিল, ২০১০ সালের দিকে প্রকৃতিতে বাঘের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ১৫৯টি। এরপর সাম্প্রতিক সময়ে ভারত, রাশিয়া, ভুটান, বাংলাদেশ ও নেপাল গণনার যে তথ্য দিয়েছে, তাতে বাঘ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৮৯০টিতে। অবশ্য আইইউসিএন জানিয়েছে, তারা নিজ থেকে গণনার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বাঘ অধ্যুষিত দেশগুলোর দেওয়া প্রাক্কলিত হিসাব তারা জানিয়েছে মাত্র।
২০১৬ সালের ১০ এপ্রিল গ্লোবাল টাইগার ফোরাম জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের ঘাটতির পর সাম্প্রতিক সময়ে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু ক্ষেত্রসমীক্ষক বিজ্ঞানীরা তা মানতে নারাজ।
বাঘবিজ্ঞানী উল্লাস কারান্থ, ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির ডেল সিক্যুয়াল, প্যান্থারার জন গুডরিচ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুন গোপালস্বামী, বিশ্ব বন্য প্রাণী তহবিলের পক্ষ থেকে যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে তাঁদের আইইউসিএনের বিজ্ঞপ্তি বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য নয়।
এবার বাংলাদেশের দিকে তাকানো যাক। বর্তমানে একমাত্র সুন্দরবন ছাড়া দেশের আর কোনো এলাকায় বাঘ টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভারতের মিজোরাম সীমান্তঘেঁষা বনাঞ্চলে বাঘ থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা। সেখানে এখনো যে জঙ্গল আছে তাতে বাঘ থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব; কিন্তু অনেক ‘যদি’ আছে এখানে। এলাকাটি অত্যন্ত দুর্গম। সেখানে যথোপযুক্ত পাহারা দেওয়ার পরিকাঠামো আমাদের নেই। বাঘের খাদ্যও ওদিকটায় নিঃশেষিত হওয়ার পথে। তার ওপর রয়েছে বিক্ষিপ্ত সহিংসতা। ফলে এখন পর্যন্ত ওই এলাকার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়া যায় না।
হাতের পাঁচ একমাত্র সুন্দরবন।
এ কথা অনস্বীকার্য যে সম্প্রতি সুন্দরবনের ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নত হয়েছে। সুন্দরবনে ডাকাতি সমস্যা প্রায় নির্মূল হওয়ার পথে। এটি সরকার ও সংশ্লিষ্টজনদের অত্যন্ত বড় সাফল্য; কিন্তু বাঘ শিকার কি বন্ধ হয়ে গেছে? সুন্দরবনের আশপাশের লোকালয় থেকে মাঝেমধ্যে বাঘের চামড়া উদ্ধার কিন্তু সে কথা বলে না।
এরই মধ্যে সুন্দরবনে একটি মহাপ্রতিবেশ ধ্বংসকারী কাজে নেমেছেন কিছু খুনে জেলে। এঁরা বনের খালগুলোতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করছেন। খালের পানিতে বিষ দেওয়ায় শুধু মাছ নয়, সব জলজ প্রাণী, আর সেসব প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য প্রাণী, সরীসৃপ—এমনকি পাখিও মারা পড়ছে।
চিংড়ি পোনা নিংড়ে তোলা ছিল সুন্দরবনের প্রতিবেশের প্রতি বেশ বড় ধাক্কা। হঠাৎ করে একটি বনভূমি বিক্ষিপ্ত দ্বীপের মতো বাঁচতে পারে না। তার জন্য দরকার আশপাশ বা ‘ইমপর্ট্যান্ট জোন’ এলাকায় কিছু সবুজ এলাকা; কিন্তু চিংড়ি চাষ শুরু হওয়ার পর সুন্দরবনের আশপাশের গ্রামগুলো হয়ে উঠেছে লবণ জলের জলাভূমি। চিংড়ি চাষের আগে সুন্দরবন এলাকায় প্রচুর ধান চাষ হতো। গ্রামগুলো ছিল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। এখন স্থানীয় লোকজন বাস করছে বেড়িবাঁধের ধারে। সংকীর্ণ এই জনবসতিগুলোতে আর গ্রামীণ আদল নেই, হয়ে উঠেছে শহুরে বস্তির চেহারার। চিংড়ির প্রকল্পগুলোর খামারিরা বহিরাগত অর্থবান মানুষ। স্থানীয়দের বিকল্প আয়ের তেমন কোনো উৎস নেই। তাই আইনি-বেআইনিভাবে তারা জঙ্গলের দিকে হাত বাড়ায়। এখন চিংড়ির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কাঁকড়ার খামার। কাঁকড়া সুন্দরবনের ১২ মাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য। প্রতিবেশ ঠিক রাখার এক অনন্য জৈবযন্ত্র এই কাঁকড়া। অথচ তাত্ক্ষণিক লাভের আশায় প্রাকৃতিক কাঁকড়া নির্বিচারে আহরণ করা হচ্ছে।
পূর্ব সুন্দরবনের একটি পুরনো সমস্যা গ্রামে বাঘ ঢুকে পড়া। এর পরিণতি স্থানীয় বাসিন্দাদের গবাদিপশু হারানো আর শেষে গ্রামবাসীর পিটুনিতে বাঘের মৃত্যু। শরণখোলা এলাকায় কিছু কিছু বনসীমান্ত খুব সরু খাল দিয়ে নির্দেশিত। বিশেষ করে রাজাপুর ইউনিয়নটি স্পর্শকাতর। এখানে কিছু এলাকায় বাঘ-শূকরের ভয়ে লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। গো-খাদ্যের অভাবে লোকজন খাল পার করে তাদের গরু-মহিষ জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেয়।
পশ্চিম সুন্দরবনে মানুষ মারা বাঘের উৎপাত আছে। এদিকে এমন কোনো বাড়ি পাবেন না, যাদের কোনো না কোনো আত্মীয় বাঘের হাতে মারা পড়েছে বা অন্তত আহত হয়েছে। বিপদের মুখে থাকা এই জনগোষ্ঠীকেও বাঘ রক্ষায় সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।
আমাদের সুন্দরবনের অভয়ারণ্যগুলো হয়ে উঠেছে পর্যটকদের পদচারণে বিপর্যস্ত। আমাদের চোখের সামনে কটকা-কচিখালীর মতো দুর্দান্ত বাঘের আবাস কিভাবে নষ্ট হয়ে গেল? আর কোনো বাঘের দেশে পর্যটকদের বাঘ অধ্যুষিত অরণ্যে হেঁটে বেড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয় না। সুন্দরবনের আশপাশের গ্রামগুলোতে হরিণের মাংস বিক্রি কিছুটা কমেছে, কিন্তু থেমে নেই।
সুন্দরবনের বাঘের বড় এক প্রাকৃতিক শত্রু সামুদ্রিক ঝড়। বড় ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের পর আমরা সঠিক হিসাব পাই না বাঘসহ কত বন্য প্রাণী মরেছে বা সাগরে ভেসে গেছে। জলোচ্ছ্বাসের পর অনেকটা সময় সাগর এত উত্তাল থাকে যে উপকূল থেকে সাগরের ভেতরে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায় না। বনের গাছপালায় আটকে পড়া মৃত দেহগুলো খুঁজে পেলে আমরা শুধু সেগুলোই লিপিবদ্ধ করি।
বাঘ সংরক্ষণে বা বাড়ানোয় এসব সমস্যার সুরাহা করতে হবে। সুন্দরবন বিভাগে বন বিভাগের প্রায় ৭০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত। স্বাস্থ্যগত ও অন্যান্য কারণে তাঁদের সবাইকে একই সময় কাজে পাওয়া যায় না। বন পাহারার উপযুক্ত যানবাহন তাঁদের নেই। টহল ফাঁড়িগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক।
বিশাল বিস্তৃত এই বনভূমি সুব্যবস্থাপনায় অন্তত আড়াই গুণ জনশক্তি, যানবাহন ও হাতিয়ার বাড়ানো দরকার। অবকাঠামো ঢেলে পুনর্বিন্যস্ত করা দরকার।
আর ওপরতলায় বসে আমরা যতই উৎসাহী প্রকল্প প্রণয়ন করি বা প্রচারণা চালাই না কেন, বনের পাশে যে মানুষ বসবাস করে, তাদের জীবনধারণের জন্য বিকল্প আয়ের উৎস না থাকলে তা অর্থহীন বাগাড়ম্বরে পরিণত হতে বাধ্য। নানা টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিনিধিরা স্থানীয় মানুষের কাছে মাইক্রোফোন ধরে প্রশ্ন রাখেন, জঙ্গলে বাঘ থাকা তারা পছন্দ করে কি না? তারা উত্তর দেয় ‘হ্যাঁ’। আসলে বাঘ না থাকলে বন শেষ হয়ে যেত। ভালো করে খোঁজ নিলে জানবেন, এটা তাদের সবার মনের কথা নয়।
বন বিভাগ আর সহব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোর শেখানো বুলি এগুলো। আপনি শুনতে পছন্দ করেন। তাই তাঁরা এটা বলেন। যাদের স্বজন বাঘের হাতে মারা পড়ে, যাদের গবাদিপশু নষ্ট হয়; মানুষ ও বাঘের সংঘাত বন্ধের ব্যবস্থা না করে তাদের কাছে সংরক্ষণের আবেদন নেহাতই অরণ্যে রোদন হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..