মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে ছাত্র জনতাকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। 

তিনি বলেছেন, ‘দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি কোনো বৈষম্য করে জনগণ তা মেনে নেবে না। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করতে হবে। শ্রমিক-মেহনতি মানুষের লড়াইকে অগ্রসর করে নিয়ে যেতে হবে।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ক্ষেতমজুর সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামান সেলিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি। 

শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার হোসেন রেজা, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, জলি তালুকদার, কাজী রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী, লাকী আক্তার, ইদ্রিস আলী প্রমূখ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘তরুণ বয়সে শ্রমিকদের সংগঠিত করা শামছুজ্জামান সেলিম পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধে ও বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ক্ষেতমজুরদের আন্দোলন ও পার্টি গড়ে তোলায় আত্মনিয়োগ করেছেন। জাতি তার অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

আজীবন বিপ্লবী কমরেড শামছুজ্জামান সেলিম ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আদর্শের প্রতীক। তিনি হাজার হাজার তরুণকে কমিউনিস্ট আদর্শ ও আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাঁর দেখানো আদর্শের পথ ধরেই কমিউনিস্ট পার্টি গণআন্দোলনকে এগিয়ে নেবে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামান সেলিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জাতি একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারিয়েছে।

যিনি ব্যক্তি-গোষ্ঠী স্বার্থ উপেক্ষা করে মানবমুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন এবং তা বাস্তবায়নে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করেছেন। গণতন্ত্র, অসাপ্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সমাজতন্ত্র তথা মুক্ত মানবের মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নীতিনিষ্ঠ ও অবিচল থেকে প্রতি মুহূর্তে আমরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো।’