×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৮-০৬
  • ৩৯ বার পঠিত
অসহযোগ আন্দোলন পরিস্থিতি ও কারফিউ জারির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাইরের জেলাগুলো থেকে মাছ, মুরগি ও সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য ঠিকমতো রাজধানীর বাজারগুলোতে আসতে পারেনি। এতে রাজধানীর বাজারগুলোতে এসব পণ্যের সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। এই সুযোগে বাজারে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
 
বিক্রেতারা বলছেন, ভয়ে পণ্যবাহী গাড়ি ঠিকমতো ঢাকায় আসেনি। যেসব গাড়ি পণ্য নিয়ে ঢাকায় এসেছে, সেগুলোকে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়েছে। যার কারণে বাজারে পণ্যের সরবরাহও কম, দামও বাড়তি।

গতকাল সোমবার রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা ও জোয়ারসাহারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ক্রেতার উপস্থিতি অনেকটাই কম ছিল।

মাছ, মুরগি ও সবজির সরবরাহও স্বাভাবিকের তুলনায় কম দেখা গেছে। গত দুই-তিন দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হয়, যা গত দুই-তিন দিন আগেও ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়। সোনালি মুরগি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত দুই-তিন দিন আগেও ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।

রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজারের জিহাদ ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী মো. বায়েজিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাজারে মুরগির সরবরাহ কমার কারণেই দাম বাড়তি। ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা এবং সোনালি ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরবরাহ সংকটের কারণে চাষ করা সব ধরনের মাছের দাম প্রতি কেজিতে আরো ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হয়। বড় সাইজের তেলাপিয়া মাছ কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় এবং পাঙ্গাশ কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতিকেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় এবং কাতল মাছ কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়।

চাষ করা বড় সাইজের পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়, বড় সাইজের টেংরা মাছ কেজি ৭০০ থেকে ৮০০, সাইজভেদে প্রতি কেজি চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

রাজধানীর মধ্য বাড্ডার পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী লোকনাথ বলেন, ‘আজ (গতকাল) আড়তে ঠিকমতো মাছের গাড়ি আসেনি। আন্দোলন পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন এলাকার মাছ চাষিরা মাছ তোলেননি। তবে যেসব মাছ এসেছিল সেগুলো আড়তেই বাড়তি দামে বিক্রি করা হয়।’

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবজির সরবরাহ কমায় সবজিভেদে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে বিক্রি হয়। বেগুন মানভেদে কেজি ৬০ থেকে ১০০ টাকায়, করলা কেজি ১০০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়, ঢেঁরস ও পটোল ৬০ টাকায়, পেঁপে ৬০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, কাঁকরল কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, হাইব্রিড শসা কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, কচুমুখী ৮০ টাকায়, টমেটো মানভেদে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস সাইজভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat