×
  • প্রকাশিত : ২০২৪-০৬-২৩
  • ৬১ বার পঠিত
ইতালির ভিসা পেতেই লাগছে ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত। এরই মধ্যে ঢাকার দূতাবাসে আটকা পড়ে আছে ২০ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট। ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ করে নেয়া অনেকের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) মতে, সময়মতো বৈধ কর্মী পাঠানো না গেলে ইউরোপের সবচেয়ে বড় এ শ্রমবাজারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য ইউরোপের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার ভূমধ্যসাগর পাড়ের দেশ ইতালি। অবৈধ পথে অভিবাসন, শ্রম ভিসা কেনা-বেচাসহ দুর্নীতির কারণে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা ৮ বছর বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে দেশটির সরকার। ২০২১ সালে পুরোদমে আবারও চালু হয় শ্রম বাজারটি। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পান।

‘ফ্লুসি ডিক্রি’- এর আওতায় দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে কৃষি, মৎস্য, সড়ক পরিবহন, নির্মাণ, পর্যটন ও রেস্টুরেন্ট খাতে মোট ৩০ হাজার ৮৫০ কর্মী নিয়োগের কথা, যার মধ্যে ১৮ হাজােই মৌসুমি। স্থানীয় প্রশাসনের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে সেসব কর্মীর জন্য ‘নুল্লা অস্তা’ বা ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করা হলেও অভিযোগ ওঠেছে, ভিসার জন্য ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত পাসপোর্ট আটকে থাকার। এতে করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভিসা প্রত্যাশীদের মাসের পর মাস চক্কর কাটতে হচ্ছে গুলশানের ভিসা সেন্টার ভিএফএসের দ্বারে। ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ করেও পাসপোর্ট জটিলতায় মেয়াদ পার হচ্ছে ওয়ার্ক পারমিটের।
 
বাংলাদেশে ইতালির ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ করা ভিএফএস গ্লোবালের সেবা নিয়েও ওঠেছে অভিযোগ। ভিসা প্রসেসিং খরচ বাবদ জনপ্রতি ১৯ হাজার ৭২০ টাকা থেকে ২২ হাজার টাকা নিলেও ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য সেখানে নেই বসার জায়গাও।
  
এদিকে, নির্বাচিত কর্মীরা ঠিক সময়ে কর্মস্থলে যোগ নিতে না পারলে শ্রমবাজারটিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা বায়রা সভাপতি আলী হায়দার চৌধুরীর।
 
প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা ঢাকার ইতালি দূতাবাসকে জানানো হয়েছে।
 
ইতালির ইমিগ্রেশন আইনে ডকুমেন্টস ঠিক থাকলে আবেদনকারীদের পাসপোর্ট জমা দেয়ার পর ৩ মাসের মধ্যে ভিসা ইস্যুর নিয়ম। তাহলে এত সময় লাগছে কেন? ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো গণমাধ্যমকে জানান, দূতাবাসে জমা ওয়ার্ক পারমিটের ২০ শতাংশই জাল হওয়ায় সময় লাগছে।
  
তিনি বলেন, 
দালালরা বলে থাকেন যে, আপনি অবৈধভাবে ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারবেন। একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেম ওয়ার্ক পারমিটকে ঘিরে আছে, ইতালির সরকার যা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর।

গত ৪ জুন বাংলাদেশে ইতালির শ্রম ভিসা কেনা-বেচা ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন খোদ ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। জানা যায়, ইতালিতে প্রায় এক লাখ ৪৫ হাজার নিবন্ধিত বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। আর অনিবন্ধিত বাড়তি আছেন আরও ২ লাখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat